০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সিঙ্গাপুর সিটি নামেও পরিচিত এ উন্নত দেশটি ৬৪টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চলছে। আমরা বিশ্বাস করি এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যেটার জন্য দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। কিন্তু বিগত সরকারগুলো সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিলেও এর সুফল জনগণ ভোগ করতে পারেনি। যার ফলে দীর্ঘসময় পর হলেও একটা বড় সফল গণআন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। যেটাকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করছি। তবে এটাও এখানে ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে না যতক্ষণ দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চেষ্টা করছেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যেন সংস্কার কার্যক্রমগুলো ভালোভাবে চলে। কিছু এগিয়েছে, আরও বাকি আছে। এরই মধ্যে কিছু দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী আরও কাজ করছে। চেষ্টা করছি, আশা করছি খুব শিগগিরিই দেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাহলেই দেশে সত্যিকারের শান্তি ও সুফল আসবে বলে জামায়াতে ইসলামী মনে করে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ, ছাত্র-জনশক্তি যারা সেখানে কাজ করছে তা যেন আরও মজবুতভাবে এগিয়ে নিতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। উচ্চ বৃত্তিসহ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠানো, জনশক্তি রপ্তানি যেন আরও বেশি করতে পারি সে ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার জন্যে আমরা কিছু পরামর্শ রেখেছি। গত গণআন্দোলনে আহত, হাতপা, চোখসহ অঙ্গহানির শিকারদের সুচিকিৎসা ও আর্টিফিসিয়াল অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ব্যক্তি ও সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।