২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

জামাল কাড়াল বরিশাল ব্যুরো।

বরিশালে আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ হন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করা মো. রহমতুল্লাহ। তখন থেকে ধারের টাকায় কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। এখন তিনি এক চোখে দেখেন না, অপরটিতে কম দেখেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় চোখ হারালে তার পরিবারকে পথে বসতে হবে বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় আহত-নিহতদের পরিবারের সহায়তায় ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার মতো এমন অনেক আহতের পরিবার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তাএ সময় উপস্থিত আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারি সহায়তার জন্য বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন থেকে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরি করা হয়নি। এমনকি তাদের পরিবারের কোনও খোঁজ-খবরও নেওয়া হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বরিশাল জেলার ৩০ জন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন চার শতাধিক। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তাদের কোনও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, যেন দ্রুত আহতদের তালিকা তৈরি করে দেশে এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।ঢাকায় আন্দোলনে নিহত সেলিম তালুকদারের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, তার পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল সেলিম। আগে ছেলের স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় বাসা নিয়ে বসবাস করতেন তারা। ছেলের মৃত্যুর পর বাসা ছেড়ে ঝালকাঠীর নলছিটিতে চলে আসতে হয়েছে। বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি সরকারের নিকট আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে আহত ছাত্রদের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমাতুল্লাহ সাব্বির নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহতদের চিকিৎসার দাবিসহ ১০ দফা তুলে ধরেন। উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সড়কের নামকরণ, এককালীন অনুদান প্রদান, মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, নিহতের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান ইত্যাদি। 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019