২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে লিটন হাওলাদার (৩৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বাড়ৈয়ারা গ্রামের বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি, ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিটন হাওলাদার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বাড়ৈয়ারা গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেনের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হন। এ কারণে লিটন প্রায়ই তাঁর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। বেল্লাল হোসেন কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে ঘটনার দিন রাতে ওই বাড়িতে বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছিলেন।
লিটন হাওলাদার নলছিটি উপজেলার মগর ইউনিয়নের খাওক্ষীর গ্রামের মৃত মোসলেম হাওলাদারের ছেলে।
লিটনের ভাইয়ের শালী (বেয়াইন) লিপি জানান, তিনি আমার ফুফাতো বোনের ভাসুর হন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে সে আমার বাবা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তখন আমি পরিবারের সদস্যদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে ছিলাম। আমার মা তাকে ভাত খাওয়ার জন্য বললে তিনি সকলের সাথে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে মায়ের সাথে তার গাছের ব্যবসার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে।
বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী লিটনের (মাওই) জায়েদা বেগম জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হঠাৎ লিটনের ডাকচিৎকার শুনে ঘরে থাকা অন্যদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তার রুমে গিয়ে দেখতে পাই সে পায়খানা ও বমি করে বিছানা মেখে ফেলেছে। তখন সে শুধু ডাকচিৎকার দিয়ে বলছে আল্লাহ আমাকে বাঁচাও, আল্লাহ আমাকে সুস্থ করো, আমার জন্য যেন কেউ বিপদে না পরে এসব কথা বলতে বলতে সে খাটের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে। তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজনও আমাদের ঘরে ছুটে আসে। তাদের সামনেই সে খাট থেকে নিচে পরে গিয়ে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যায়। পরবর্তীতে আমরা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
লিটনের মা ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে ভাতের সাথে বিষ খাওয়িয়ে তারা মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। আর জায়েদা ও লিপির পরিবারের সাথে আমাদের কোন আত্মীয়তার কোন সম্পর্ক নেই।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।