০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দর্শনায় কেরুজ টেন্ডার বাক্স ভাঙচুরের মামলা,আসামী ২০/২৫ জন কালকিনিতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১০০০ পিচ শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ। ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হবে হ্যারিকেন মিল্টন দুর্গাপূজা হলো সাম্যের প্রতীক ও মৈত্রীর প্রতীক- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা হাসানাত আব্দুল্লাহসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা মোরেলগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী অসুস্থ এম. এ মান্নান সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ব্যাংকের ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগে ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে৭শ২৪ লিটার মদের উপকরণসহ গ্রেফতার ৩ জন
পূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ পাঠাতে বাংলাদেশের কাছে আবদার ভারতের

পূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ পাঠাতে বাংলাদেশের কাছে আবদার ভারতের

আজকের ক্রাইম ডেক্স
গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে পাঠানো হতো বাংলাদেশের ইলিশ। কিন্তু টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় না থাকার বিষয়টি এবার অনেকটাই নিশ্চিত।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবার ইলিশ দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যায় ভারতে। তবে এবার ইলিশ যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিবার শেখ হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করত।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। এবার হাসিনা আর সরকারে নেই। বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও আসামেও যায় বাংলাদেশের ইলিশ। বছরজুড়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে সেখানকার পূজা একেবারে জমে যায়।

গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ ভারতে যাবে, আদৌ যাবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।

সংবাদমাধ্যমটির দাবি, অনেকের মতে অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারতবিরোধী বাতাস বইতে শুরু করেছিল। তবে এবার সেই বাতাস কি ইলিশের ওপরেও পড়বে? এসব নিয়ে আলোচনা একেবারে তুঙ্গে।

তবে দাম যতই বেশি হোক অনেকেই বাংলাদেশের ইলিশ কিনে থাকেন। অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইলিশ ছাড়া যেন উৎসব সম্পূর্ণ হয় না। অনেকে আবার যারা শেকড় ছিঁড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন তাদের কাছে এই পদ্মার ইলিশ যেন কিছুক্ষণের জন্য ফেলে আসা ভিটে মাটির গন্ধ বয়ে আনে।

তবে এবার প্রশ্ন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবে কি না? যদিও বা যায়, তাহলে কতটা ইলিশ যাবে? সেই ইলিশের দাম কি মধ্য়বিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে? পূজার আগে যাবে নাকি তার দিনের কোনও পরিবর্তন হবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে গেলে খুশি হন রাজ্যটির মৎস্যব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে লাভ অনেকটাই হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019