২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বিরামপুরে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে গ্রামবাসী ও বাঁধ

বিরামপুরে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে গ্রামবাসী ও বাঁধ

শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুরে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলনে গ্রামবাসি ও প্রতিরক্ষা বাধটি হুমকির মুখে পড়েছে গ্রামবাসীর অভিযোগ উঠেছে। বিরামপুর উপজেলার পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যমুনা নদীর পাড়টি গ্রাম প্রতিরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন লক্ষ্য লক্ষ টাকা খরচ করে বাধটি নির্মাণ গ্রামটিকে করেছে।
এলাকার জনসাধারণকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের আবাদি জমি থেকে বালু উত্তোলন করেন। ফলে গ্রামবাসি হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসি। এভাবে গ্রামের মধ্য দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাধসহ উপজেলার প্রায় ২০-২৩টি গ্রামের আবাদি জমি,ঘর-বাড়ী জামে মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। বেড়িবাধের পাশে যমুনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বালু ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। স্থানীয়রা জানান,বিরামপুর উপজেলার উপজেলার একাধিক গ্রামের জনসাধারণ যমুনা নদীর তীরবর্তি এলাকার মানুষ পারিপার্শ্বিক কারণেই অসহায় ভাবে জীবন যাপন করে আসছে। উপজেলার প্রায় অনেক গ্রামের আবাদি জমি,ঘরবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার্থে বর্তমান সরকার কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে বেড়িবাঁধ নির্মান করেছে। কিন্তু ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে যে কোন সময় বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তি এলাকা প্লাবিত হওয়ার চরম সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার কিছু বিত্তশালী মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যমুনা নদীর
যমুনা নদীতে বিশাল দুটি ভেকু বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের কারণে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধসহ ওই সব এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বালু বিক্রেতা এলাকার প্রভাবশালী বিধায় কেউ এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। যমুনা তীরবর্তি গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও ভূক্তভোগিরা ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করা সত্যেও তারা পৃথক পৃথক বিশাল দুটি ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অনেক অভিযোগ করেও কোন লাভ হয় নাই। যমুনা নদীর তীরবর্তি এলাকার কয়েকটি গ্রামের জমিজমা ও ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে,বাকী গ্রামগুলো ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার্থে কোটি টাকা ব্যয় করে বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়েছে। ওই এলাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি অবাধে ক্রয় বিক্রয় করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মুঠোফোনে কথা জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমি দেখছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019