২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারী বিভাগের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ডিএস (ডিনেচার স্প্রিরিট) উধাও এর ঘটনায় ডি এস গোডাউনে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কতৃক সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭জুন) চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডি এস (ডিনেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা করেন।এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় হলেন, যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক গোলক মজুমদার ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম।ডিস্ট্রিলারীর ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ডিস্ট্রিলারীর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন। উল্লেখ্য,কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউন বুঝে নেবার সময়৷ ট্যাঙ্কির স্পিরিটের গভীরতা পায় ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৩৫ হাজার ৫ শত ১২.২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭শ ১১.৫৫ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে ট্যাঙ্কির গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৪ হাজার ৮ শত ৪.৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭ শত ৯৫.৭৩ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে। ভ্যাট নাম্বার ৩ ভ্যাট নম্বর ৭ ও ভ্যাট নাম্বার ১০ বাস্তবিক মজুদ অনুযায়ী ১৩ হাজার ১ শত ৯০.৭৫ লিটারের বেশি মালামাল কম থাকায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। ওই অভিযোগ পত্রে বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন বেশ অন্যান্য কর্মকর্তারা।