২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০

আজকের ক্রাইম ডেক্স : ভোলা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় অন্তত ২টি মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ঘটেছে। এতে পুরো এলাকা আতংক ছড়িয়ে পরে।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সদর উপজেলার জংশন বাজারের ইলিশা নৌ-থানার সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা আনারস মার্কার মিছিল নিয়ে বের হয়।

একইসময় ইউনূস মিয়ার সমর্থকরা মোটরসাইকেল মার্কার একটি মিছিল বের করে রওনা হওয়ার পথে আনারস মার্কার কর্মী সমর্থকদের সাথে দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়। এসময় অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এ উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। চলে অন্তত দের ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। মোটরসাইকেলসহ ভাংচুর করা হয়েছে একটি ট্রাকসহ বেশ কয়েকটি অটোরিকশা। আহতদের নিতে আসা একটি এম্বুল্যান্সের গ্লাস ভাংচুরের পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী ক্লাব ভাংচুর করা হয়েছে। এরশাদ নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক-ভাবে উভয়পক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, দুই প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।

পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসাইন জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে। আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019