২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
আগৈলঝাড়ায় যুবদল সভাপতির অবৈধ দখলে থাকা কয়েক কোটি টাকার সরকারী জমি

আগৈলঝাড়ায় যুবদল সভাপতির অবৈধ দখলে থাকা কয়েক কোটি টাকার সরকারী জমি

স্টাফ রিপোর্টারঃ-

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাতের আধারে ক্যাডারদের নিয়ে যুবদল সভাপতির অবৈধভাবে দখল করা ১ একর ২৯ শতক ডিসিআরভুক্ত সরকারী জমি উদ্ধারে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী), বরিশাল-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র শুপারিশক্রমে সরকারের খাস খতিয়ানের ডিসিআর ভুক্ত প্রাণি সম্পদ বিভাগের কৃত্তিম প্রজনন কেন্দ্রর ১ একর ২৯ শতক জমি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ৪নং গৈলা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদারের আবেদন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া মৌজায় এসএ ২৮৭ খতিয়ানে ৩৭৭ এবং ৩৭৮ দাগে, বিএস ৭০৩ দাগে ১ একর ২৪ শতক জমি ভিপি থাকায় দীর্ঘ দিন যাবত ডিসিআর সূত্রে মালিক উপজেলা কৃত্তিম প্রজনন কেন্দ্র। যার ভিপি কেস নং-৯১/৬৮-৬৯ এবং ৬.১/৬৬-৬৭।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গবাদীপশু পালককারী কৃষকদের স্বার্থ চিন্তা করে স্বাধীনতার পরেই এই কৃত্তিম প্রজজন কেন্দ্রটি গৈলার রথখোলায় সড়কের পাশে উল্লেখিত জায়গায় স্থাপন করা হয়। এখানে গবাদীপশুর কৃত্তিম প্রজনন এবং চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন চিকিৎসকেরা।২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে স্থানীয় আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে, গৈলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জসীম মোল্লা তার দলীয় প্রভাব এবং তত্বাবধায়ক সরকারের একজন সাবেক উপদেষ্টার আত্মীয় পরিচয়ে ওই উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে রাতের আধারে জসীম তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ডিসিআরভুক্ত সম্পত্তির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, প্রজনন কেন্দ্রের পুরাণ ভবন, পুকুর, বাগান, বাড়িসহ মোট ১২৯ দশমিক ৪৪ শতক জমি দখল করে নেয়। অবৈধ দখলের পরে ওই জমিতে পাকা ও আধাপাকা ঘর তুলে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাসের পাশাপাশি ভারাটিয়াদের কাছে ঘর ভাড়া দিয়ে দখলে রেখেছে জসীম মোল্লা। জসীম মোল্লার অবৈধ দখলের খবর ওই সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সরকারের দখল করা জায়গা উদ্ধারে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। অথচ সেই অবৈধ দখল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারের কৃত্তিম প্রজনন কেন্দ্র সরকারী টাকা ব্যয় করে সরকারকে ডিসিআর এর মূল্য পরিশোধ করে আসছে। সরকারের একটি দপ্তরের নামে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ডিসিআর এর অর্থ নিয়ে মালিকানা প্রদান করলেও যুগের পর যুগ এসিল্যান্ড অফিস থেকে অজ্ঞাত কারণে দখল মুক্ত করতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জনস্বার্থে সরকারের জমি অবৈধ দখল মুক্ত করতে এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন ওই উইনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু।
চেয়ারম্যান শফিকুল হোনে টিটু জানায়, সরকারের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে মুক্ত করতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ৩ এপ্রিল আবেদন করেছেন। জনস্বার্থর কথা বিবেচনা করে চেয়ারম্যানের আবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী), স্থানীয় এমপি আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ‘তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য” নির্বাহী অফিসারকে শুপারিশ করেছেন।সরকারী সম্পত্তি দখলদার জসীম মোল্লার বাড়ি তালাবদ্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন বলেন-সরকারের জমি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য গৈলা ইউপি চেয়ারম্যানের একটি আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করার জন্য দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019