২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি ইমরান জামান কাজল।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রুগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে ।
আউটডোর হলে টিকেট ১০ টাকা, টিকেট নেওয়ার পর, যদি রোগী ভর্তি করতে হয় । লেখা ১৫ টাকা কিন্তু ১৫ টাকা ভাংতি না দিলে টিকেট ২০ টাকা ।
টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা, ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর ওয়ার্ড বয়কে ৫০০ টাকা বখশিশ দিলে বেড আছে । না হয় বারান্দা ফ্লোরে ।
এরপর শুরু হয় ডাক্তারের পালা। একের পর এক ডাক্তার আসে এবং নতুন নতুন টেস্ট লিখে দিয়ে যায়। আর এরপর এক গ্রুপ ইন্টারনী ডাক্তার এসে লিখে দেয় থলে ভর্তি সেলাইন ইঞ্জেকশন, ঔষধ একটি বিরাট ফর্দ।
একটি কথা না বললেই হয় না আপনার টাকা থাকিলে দালালের মাধ্যমে হাসপাতালেই ইসিজি করাতে পারবেন এমন কি বড় ডাক্তার ও দেখানোর সুযোগ আছে এবং হাসপাতালের বাহিরে দালালের মাধ্যমে প্যাথলজির সর্ব রকম সুবিধা পাবেন, দালালদের এই সুবিধা ২৪ ঘন্টা আপনারা পাইবেন ।
রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরিক্ষা দিবে । এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরিক্ষা দিবে ।
পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০ টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে । আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে ।সব পরিক্ষা শেষ । এবার অপারেশন এর পালা ।অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে । যাহা অফেরৎ যোগ্য । অপারেশনে যদি রোগী মারা যায় । টাকা এবং মানুষ সব শেষ । হাতে ভিক্ষার বাটি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন ।
আর অপারেশন যদি সাকসেস হয় । অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে । আয়াকেও খুশি করতে হইবে এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য ও খাওয়ার ঔষধ কিনতে হবে ।
রোগী সুস্থ্য এবার রিলিস দেওয়ার পালা । নার্সকে খুশি করতে হবে । ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে । সবাইকে খুশি করে লেংটা হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ।
তারপর বাহিরে এসে দেখবেন জাতির সেই ব্যানার ঝুলে আছে, আমি ও আমরা সবাই সাধু !!
আমি প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে এই সকল দুর্নীতি রুখতে হবে এবং হাসপাতাল তদারকিতে আরো জোর দাবি করছি ।