২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির পূর্ব চাঁদকাঠির বাসিন্দা মানবতার ফেরিওয়ালা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মোঃ ছবির হোসেন শনিবার বিকেল তিনটায় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে একটি অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ,শীতবস্ত্র, কাপড় স্কুল ব্যাগ নিজ হাতে বিতরণ করেন। এ বিষয়ে ছবির হোসেন বলেন অসহায় আমি পরিত্যাক্তা এক নারী আমার বাসায় এসেছিলেন আর্থিক সাহায্যের জন্য। আমি চিন্তা করে দেখলাম নগদ টাকা না দিয়ে যদি পরিবারটির জন্য কিছু একটা করা যায় তাহলে এই পরিবার কারো কাছে হাত পেতে চলতে হবে না। এই চিন্তা থেকেই একটি সেলাই মেশিন ও কাপড় চোপড় প্রদান করেছি। সমাজের সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি আরো বলেন মানুষের টাকা আছে কিন্তু অসহায় মানুষের পাশে অনেক মানুষ আসে না টাকা দিয়ে কি হবে মানুষ হয়ে মানুষের জন্য যদি কিছু করতে নাই পারি।
উল্লেখ্য ছবির হোসেন বিগত দিন থেকে এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক পরিবারকে তিনি ব্যবসায়িকভাবে স্বাবলম্বী করেছেন। তার কথা হল ভিক্ষা নয় কাজ করে খাও।
ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণ কাটি এলাকার রাবেয়া খাতুন বলেন ৫ থেকে ৬ বছর হয়েছে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে আমার আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে এবং পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার বাবা বেঁচে নেই কোন ভাই নেই আমার। আমি শ্রমজীবীর কাজ করতাম খবর পেলাম ঝালকাঠি শহরের মানবতার ফেরিওয়ালা নামে ছবির হোসেন ভাই রয়েছেন তিনি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান । আমি তার বাসায় ছুটে এসেছি আমার কথা শুনে তিনি বললেন আপনি কি সেলাই মেশিন চালাতে পারেন আমি বললাম হ্যাঁ। তখন ছবির ভাই জিজ্ঞাসা করল আপনার আর কি কি দরকার তখন তাকে বললাম একটি সেলাই মেশিন আমার মায়ের পরনের কাপড় আমার পরনের কাপড় শীত বস্ত্র ও বাচ্চাদের জন্য কাপড় ওই স্কুল বা প্রয়োজন। তিনি বললেন চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যা চেয়েছেন সব আমি একা দিব ।
আজকে আমি যা চেয়েছিলাম সব পেয়েছি আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এত টাকার জিনিসপত্র আমাকে তিনি দিবেন। আজ আমি অত্যন্ত খুশি এখন কাজ করে আমি সংসার চালাতে পারবো। দোয়া করি মহান আল্লাহ তাআলা তাকে সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন।
রাবেয়া খাতুন আরো বলেন আমি আমার মায়ের ঘরে থাকি ঘরের অবস্থা নাজুক বৃষ্টি হলেই ঘরের চারিদিক থেকে পানি পড়ে । ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করব আমার থাকার ঘরটি যদি মেরামতের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেন তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।