২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক ইমরান জামান কাজল।
খুলনা শহরে বসবাস রত সাধারণ জনগণ প্রতিটি খেয়া ঘাটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেউ দেখার ও প্রতিবাদ করার মতো নেই। ভোগান্তির কখনোই কমতি হয় না।খেয়া ঘাটের এ সকল চাঁদা আদায় করার লোকজন প্রত্যেকেই সরকারি ক্ষমতা ধর ব্যক্তিদের ছাত্র ছায়ায় ও প্রশাসনের উপস্থিতিতেই চলে এ ধরনের চাঁদা আদায়ের কার্যক্রম।
অপরদিকে রুপসা মাছের পাইকারি বাজার ও বাস স্ট্যান্ড একই স্থানে হাওয়াই ওই একই চাঁদাবাজ গোষ্ঠীর লোকজন প্রতিটি যানবাহন থেকেও আদায় করে চাঁদার টাকা।যদি কোন ব্যক্তি এই সকল চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার লাঞ্ছনা। এমনকি তারা অনেক সময় গায়ে হাত তুলে বসে।অপরদিকে রুপসা ট্রাফিক পুলিশ খুলনা সদর থানা পুলিশ প্রায়ঃশি ট্রাফিক মোড়ে ডিউটি করে। এ সকল পুলিশগণ ওই সকল চাঁদাবাজদের এ ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা সত্বেও তারা মুখ বুজে থাকে। তারা কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেয় না।
শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে বয়বৃদ্ধরাও কিন্তু দেখার কেউ নেই। বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোঃ জিয়া শরীফ নামের এক ভদ্রলোক সেখানে নাজেহাল হয়ে আক্ষেপ করে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন।
এ কি হচ্ছে..? এক সাংবাদিক ভাই এর সাথেও ঘটে এমনটা। তার ভাষ্য মতে, “আমি খুলনা জলিল টাওয়ার দিয়ে প্রিন্টারের ২টি কাটিস ও ১টি ব্যানার হাতে নিয়ে বাড়ীর উদ্যোশে রওনা হই।
ইজি-বাইকে করে রূপসা ঘাটে আসি। টোলঘরে আসা মাত্রই দেখতে পাই একজন বৃদ্ধ লোককে টোল আদায়কারীরা তার জামার কলার ধরে ধাক্কা দিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে বললেন।
কারণ বৃদ্ধ লোকটির কাছে ছিল ২টি ব্যাগ আর ঐ ২টি ব্যাগের জন্য তাকে ৬০ টাকা দিয়ে পার হতে হবে নাহয় তাকে যেতে দিবে না মর্মে বলেন। এ নিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে মিনিট দশেক তাকে বাকবিতণ্ডা করতে দেখা গেল।
ইহা দেখা সত্বেও আমি ২টাকা হাতে বের করে পার হওয়ার উদ্যেশে চলি কিন্তু তাদের বাধা। টোল আদায় কারীরা বলে আপনার হাতে কি প্রিন্টার…? আমি উত্তরে বলি না ভাই প্রিন্টারের কালি/কাটিস।
আদায়কারীরা বলে যাই হোক আপনাকে ওর জন্য ৪০ টাকা দিতে হবে। আমি বললাম ভাই আমার হাতে ৫কেজিরও মাল নেই ইহাতে আপনাদের ৪০ টাকা দিতে হবে।
তারা বললেন জিঁ দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আমি ১০ টাকা নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু তারা বলেন না আপনার নদীর ওপাড়ে যেতে হলে ৪০ টাকা দিয়েই যেতে হবে। তখন মনটা খুব খারাপ লাগলো কারণ জলিল টাওয়ারের ওখান দিয়ে যদি আমি সোনাডাংগার গাড়িতে যেতাম তা হলে আরো আগে বাড়ী যেতে পারতাম।
যাই হোক ক্ষিপ্তহয়ে আবার আমি সোনাডাংগার উদ্যোশে ইজি-বাইকে উঠি এবং সোনাডাংগা টু বাগেরহাটের গাড়ীতে বাড়ীতে আসি।”
সাধারণ মানুষের প্রতিনিয়ত কি দূর্ভোগ-ইনা পোয়াতে হচ্ছে এই ঘাটে। রূপসা ঘাট পার হতে গিয়ে প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হন শত শত মানুষ।
বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে কোনো পণ্য থাকলে তার আর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। অনেকে মানসম্মানের ভয়ে টাকা দিয়েও নানা বাজে কথা শোনেন। কিন্তু এর কি কোন প্রতিকার নেই। যদি এই পোষ্ট আপনারা পড়ে থাকেন শেয়ার করে জানিয়ে দিন সকলকে যদি কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি পড়ে তা হলে যদি কোন প্রতিকার পাওয়া যায়।
সুতরাং আমাদের খুলনা বাসির সকল সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে বিনীত নিবেদন জানাই এই যে,এই ব্যাপারে প্রশাসনিক মহলের একান্ত সদিচ্ছা ও ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা এ সকল ভোগান্তির থেকে মুক্ত হতে পারব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন মহোদয়ের একান্ত দৃষ্টি কামনা করছি আমরা খুলনা এলাকার সাধারণ জনগণ।