২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বিরামপুর হাজির হোটেলে প্রতি বৃহস্পতিবারে বিনামূল্যে খাবার খান ২০০অসহায় ক্ষুধার্থ মানুষ

বিরামপুর হাজির হোটেলে প্রতি বৃহস্পতিবারে বিনামূল্যে খাবার খান ২০০অসহায় ক্ষুধার্থ মানুষ

শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বিরামপুর উপজেলার পল্লবী মোড়ে অবস্থিত হাজির হোটেল প্রতি বৃহস্পতিবার গড়ে ১৫০শ থেকে ২০০শ অসহায়, গরিব, এতিম ক্ষুধার্থদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়ান হোটেল মালিক বেলাল হোসেন আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় নিজের ব্যবসার একটি অংশ দিয়েই চালাচ্ছেন এই মেহমান খানা। এমন উদ্যোগে খুশি দিনমজুর, গরিব ও ক্ষুধার্থ মানুষ।

কয়েক বছর আগে একটি হোটেল থেকে খাবার না দিয়ে একজন পাগল ফকিরকে বের করে দিতে দেখে গরিব, অসহায় ও ভিখারীদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জন্মে তার মনে। নিজের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হলে প্রতি বৃহস্পতিবার গরিব অসহায়দের জন্য বিনামূল্যে খাবারের এই উদ্যোগ চালু করেন তিনি।
আট মাস আগে প্রতি বৃহস্পতিবার ৫০ জনের খাওয়ানোর চিন্তা নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ১৫০শ থেকে ২০০শ মানুষ বিনামূল্যে খাওয়ানো হয় এই হোটেলে।
এমন মহৎ কাজের উদোক্তা বেলাল হোসেন জানান, জীবনের শুরুতে অনেক কষ্ট করেছেন তিনি। চাকুরির কিছু টাকা সঞ্চয় করে ছোট পরিসরে চালু করেন নিজের এই হোটেল ব্যবসা গরিব-দুঃখী অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের কথা চিন্তা করে সপ্তাহে একটি দিন অন্তত যাতে তারা ভালো খেতে পারে সেজন্যই তার এই প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি লোক দেখানোর জন্য এগুলো কিছু করি না আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গরিব, অসহায়, ফকিরদের জন্য এই খাবারের ব্যবস্থা করি এই কাজে আমি কারো সহযোগিতা নিই না। হোটেলে যদি ৫শ মানুষও আসে আমি তাদের খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলাল হোসেনের এমন উদ্যোগটি ইতোমধ্যে উপজেলায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। তার কারণে আমাদের এলাকার অনেক অসহায় গরিব ও ক্ষুধার্থ মানুষ সপ্তাহে অন্তত একদিন ভালো খাবার খেতে পারছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019