২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
ঘোড়াঘাটে আসামী ধরতে গিয়ে হামলা চেষ্টার শিকার পুলিশ

ঘোড়াঘাটে আসামী ধরতে গিয়ে হামলা চেষ্টার শিকার পুলিশ

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ(মহাতাব মুহাম্মাদ সরকার), ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মামলার এজাহার ভূক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামীর পরিবারের কাছে হেনস্থার শিকার হয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ উঠেছে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার এক পর্যায়ে আসামীর পরিবারের নারী সদস্যরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে।

সোমবার বিকেল ৩টায় ঘোড়াঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন সাদ্দামকে (৩০) গ্রেপ্তার করতে তার নিজ বাড়ি পালশা ইউনিয়নের জোড়গাড়ী-নয়াপাড়া গ্রামে গেলে এই ঘটনা ঘটে। সাদ্দাম নাশকতা মামলার এজাহারভূক্ত ৩৭ নাম্বার আসামী।

পুলিশ সদস্যরা সাদ্দামের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ এবং আপত্তিকর নানা ভাষায় গালিগালাজ করে। এর এক পর্যায়ে তার পরিবারের নারী সদস্যরা পুলিশের দিকে তেড়ে আসে।

এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসীম কুমার মোদক বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।

অসীম কুমার মোদক বলেন, “আমরা এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশ বাহিনী ও সরকারকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এবং আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে সেখান থেকে চলে আসার সময় আমরা তার বাবা-মাকে বলেছি যে আপনার ছেলেকে সাবধানে রাখেন। বিশৃঙ্খলা করলে আমরা কোন ছাড় দেব না। নাশকতা সৃষ্টি করে এলাকা অশান্ত করলে আপনার ছেলের খবর আছে।”

পুলিশ জানায়, ১লা জানুয়ারী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে সাদ্দামের নেতৃত্বে তার বাড়িতে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল আলোচনা সভা শেষে রাতে নেতাকর্মীরা দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সহ নাশকতা সৃষ্টি করবে। এমন তথ্যের উপর ভিত্তি করে সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে চালায় পুলিশ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুল হক। তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রী এসে বললো গ্রামে পুলিশ ঢুকেছে। পরে আমি গিয়ে দেখি সাদ্দামের বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়ালো। পরে আমিও এগিয়ে গেলাম। পুলিশ ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পর বাড়িটির লোকজন পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করে। মহিলারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ বের হয়ে যাবার সময় সাদ্দামের বাবা-মাকে সর্তক করে দিয়ে চলে যায়।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রায়হানুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিকেল বেলা পুলিশ সাদ্দামের বাড়িতে যায়। আমিও সেখানেই ছিলাম। আমাদের গ্রামের ছেলে ছাত্র নেতা সাদ্দামের বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরেই চিল্লাচিল্লি শুরু হয়। বাড়ির পুরুষ-মহিলারা গালিগালাজ করতে থাকে। আমি সহ আরো বেশ কয়েকজন তখন বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ চলে যাবার সময় বলে গেল ছেলেকে ভালো ভাবে থাকতে বলেন। নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে খবর আছে।”

এদিকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, “এই রকম একটি ঘটনা শুনেছি। আমাদের সদস্যরা এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। সে সময় আসামীর পরিবারের লোকজন পুলিশের সাথে অসদাচারন করেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019