২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল বিভাগের চলতি মওসুমের আখ মাড়াই উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দেশের সর্ববৃহত চিনিকল কমপ্লেক্সের আখের ডোঙায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি।মাড়াই মওসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল কমপ্লেক্সের আয়োজনে কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) আতাউর রহমান খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা,চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু,চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর.এম.ফয়জুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, কেরু চিনিকল কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ও আখচাষী আব্দুল বারি।
অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আখ রোপনকারী উথলি গ্রামের আখচাষী শামীম হোসেনকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষে হয়। উল্লেখ্য ২০২৩-২৪ চলতি মওসুমে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর নিজস্ব জমিতে দণ্ডায়মান আখ আছে ১ হাজার ১৫৩ একর এবং সাধারণ চাষীদের রয়েছে ২ হাজার ৬৪৯ একর আখ। এ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫০ থেকে ৫৫ মাড়াই কার্য দিবসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চিনি আহরণ ৬ দশমিক ২০ ভাগ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল কমপ্লেক্স একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম চিনি কল। তবে উপজাত হিসেবে এই কারখানা থেকে মদ উৎপাদিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ মদ বিক্রির রেকর্ড করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যগুলো হলো চিনি, মদ, জৈব সার, চিটাগুড় ও মণ্ড। এই শিল্প কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত লোকসান গুণে আসছিল। সরকারিভাবে চিনির মুল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে মিলটিতে আধুনিকায়নের কাজ চলছে।