২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ গ্রহণে বিশাল একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী বের হয়ে উপজেলার স্টীল ব্রীজ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যলয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মান্নান মাস্টার, মোস্তফা কামাল চিশতী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল আহমেদ আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম লাভু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসানুর রহমান খান, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক রিফাত জাহান তাপসী, দপ্তর সম্পাদক পরিতোষ চন্দ্র পাল, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান পিন্টু সিকদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাওহীদ হোসেন,
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারি, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মোস্তাক আহমেদ রিপন, সহ প্রচার সম্পাদক শামিম খান, সদস্য মোঃ গোলাম কিবরিয়া, দেহেরগতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ রশিদ মোল্লা, চাঁদপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মোল্লা,
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন রুম্মান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ ইয়াসির আরাফাত সোহেল, বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ ফাইজুল হক, সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, তাপস ভদ্র প্রমুখ।
এছাড়াও আনন্দ র্যালীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ গ্রহন করেন। আলোচনা সভা শেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সংঘাত বন্ধে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তখনকার চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এর সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। শান্তি চুক্তির পর থেকে পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। শুরু হয় উন্নয়ন কর্মকান্ড। শান্তি চুক্তির ফলে প্রাথমিকভাবে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।