২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ একই পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে।
জানা যায় মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বসে সিগারেট পানের দৃশ্য ভাইরাল এবং সরকারের সমালোচনা করেন। তার এই কর্মকান্ডে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগন বাধা প্রদান করেন। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে লিপি আক্তারের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
এরপর থেকেই ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী ৩০ বস্তা চাল চুরি করিয়াছে মর্মে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
এছাড়াও ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি তার আইডি থেকে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে মানহানিকর বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন।
পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত ইংরেজি ৯-৭-২০২৩ তারিখে ফাতেমা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে আইসিটি মামালা করা করা হয়েছে। মামলা নাম্বার ১০৭/২০২৩ ।
ঐ আইসিটি মামলার কাউন্টার হিসাবে ফাতেমা আক্তার লিপি মাধবপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন হাওলাদার এর যোগসাজশে গত ২০/২০২৩ ইং তারিখে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সহ ৬ জন ইউপি সদস্য কে জড়িয়ে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি নালিশী মামলা করেন।
সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অপপ্রচার করায়
ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাধবপাশার উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি একটি গোষ্ঠী। তাই
মাধবপাশার ভাব মূর্তি নষ্ট করতে ও উন্নয়ন কে বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয় একটি মহল।
তিনি আরো বলেন, তারা আসলে চায় না বরিশাল-৩ আসনের সংসদ আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপুর সহযোগিতায় আমি মাধবপাশা ইউনিয়ন কে একটি রোল মডেল গড়ে তুলি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আমরা প্রতিটি গ্রামকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
উন্নয়ন কার্যক্রম তাদের সহ্য হয় না। যেকোনো উপায়ে উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত এবং বিতর্কিত করার জন্য সর্বদা তৎপর সেই বিশেষ মহল। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে এদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু ঘরের শত্রু বিভীষণরা। এদের সম্মিলিত অপপ্রচার আর গুজবে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপির মুঠোফোন (01712-919226 নাম্বারে)
একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।