২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও এ-সংক্রান্ত সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল ২০২৩’ সংসদে পাস হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। এর ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন রহিত করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় এমপিরা অভিযোগ করেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। কারণ পুলিশ এখনও জনবান্ধব হতে পারেনি। সমালোচনা করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় সদস্যরা সম্প্রতি পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতন এবং আদালত চত্বরে আইনজীবীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাও উল্লেখ করেন।
সমালোচনার জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যেই অপরাধ করুক শাস্তি কিন্তু পেতে হয়। আপনারা যে পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলেছেন তিনিও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও কেউ মামলা করেনি। আমাদের তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই হবে।’
এর আগে বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না। এটি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাহলে সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন? এটি করতে গেলে জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বেশ কয়েকটি কর্তৃপক্ষকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি ফখরুল ইমাম বলেন, ‘ইসির কাছে থাকা নাগরিকের তথ্য যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু ইসির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। ভোটার তালিকা করার স্বাধীনতা ইসির। নভেম্বরে নির্বাচনের তপশিল হবে। এর আগে এ আইনটি কার্যকর হলে ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে।’
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এনআইডি দেওয়ার জন্য একজন নিবন্ধক থাকবেন। সরকার তাঁকে নিয়োগ দেবে। নিবন্ধক ও নিবন্ধকের কার্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান পদ্ধতিতে ইসি এনআইডি দিতে পারবে। সরকার গেজেট জারি করে যে তারিখ নির্ধারণ করবে সে তারিখ থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
বিলে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনটি রহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসির কাছে রক্ষিত এবং ইসি কর্তৃক সংগৃহীত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও এনআইডি সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্তের কপি এবং সম্পদ, দায় দেনা নিবন্ধকের কাছে হস্তান্তরিত হবে। ইসির চাহিদা মোতাবেক নিবন্ধক প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করবে। এজন্য নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীন একটি সেল থাকবে। এ সেলে ইসির প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন।