২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে বড় মীরগঞ্জের সাথে ছোট মীরগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকালে বড় মীরগঞ্জ ও ছোট মীরগঞ্জ বাজারের মধ্যবর্তি স্থান খানকায়ে সুলতানিয়া নামক মসজিদ সংলগ্ন সড়কসহ অন্তত ৬০ মিটার এলাকাজুড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । এতে রহমতপুর তথা বড় মীরগঞ্জের সাথে ওই সড়ক পথে চাঁদপাশা ইউনিয়নের রফিয়াদি, আরজিকালিকাপুরের একাংশ ও সিংহেরকাঠী গ্রামের পূর্বাংশের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এবং ছোট মীরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা বিপাকে পরেছেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সড়কটি ভেঙে গিয়ে বিভক্ত হওয়াতে সাধারণ মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। বেশ কিছু দিন যাবৎ আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে চাঁদপাশা ইউনিয়নের ভাবানিপুর, আরজিকালিকাপুর, রফিয়াদী এবং রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী, ছোট মীরগঞ্জ ও লোহালিয়া গ্রামের নদী তীরবর্তি এলাকায় প্রবল আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙন রোধে ওই সকল এলাকাতে গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ এবং টিউব ফেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। কিন্তু এক বছর পার হতে না হতে জিও ব্যাগ ও টিউব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সড়ক যোগাযোগের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সিমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হবে এবং কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা সদর কিংবা বাবুগঞ্জ বাজার এবং থানা সদর এলাকায় যেতে হবে।
অপরদিকে ভাঙন শেষে সড়কটির লোহালিয়া অংশের শেষ প্রান্তের ইট হয়েছে হরিলুট। সকালে ওই এলাকাতে গিয়ে দেখা গেছে স্থানীয়রা বেশ কিছু ভ্যান যোগে সড়কের ইট উঠিয়ে যে যার মত নিয়ে যাচ্ছে।
ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা রহমানকে জানালে তিনি দ্রুত বরিশাল পানিউন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তাদের অবহিত করেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ, এসও মোঃ রাশেদুল ইসলামকে নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংহেরকাঠী এলাকার ইউপি সদস্য জামাল হোসেন পুতুল, লোহালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ শাহিন হোসেন হাওলাদার এবং ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা বেগমসহ স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান শুভ বলেন, আমি জনর্দূভোগ নিজের চোখে দেখেছি। ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকারি খাস জমি না থাকাতে স্থানীয়রা যদি জমি দিয়ে সহযোগীতা করেন তা হলে অতি দ্রুত বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।