২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ডিলারদের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চালের দাম ১০টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার পরও ডিলাররা চাল কম দেওয়ায় নিম্নআয়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কার্ড বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় তারা প্রকাশ্যে চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না অনেক ইউনিয়নের লোকজন।
জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার পাঁচশত নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা সুবিধাভোগীদের ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ ডিলার ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫ থেকে ২৭/২৮ কেজি চাল বিতরণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা জানান, আগে এ কর্মসূচির শুরুতে তাদের ৩০ কেজি চালের বস্তা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন চাল নেওয়ার জন্য তাদের বাড়ি থেকে খালি বস্তা নিয়ে আসতে হয়। আবার ডিলাররা ৫০ কেজির চালের বস্তা খুলে দাঁড়িপাল্লা বা ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে মেপে না দিয়ে বালতি ভরে চাল মেপে দেয়। এভাবে চাল দেওয়ার সময় ডিলারদের কর্মচারীরা প্রতিজনকে অন্তত আড়াই থেকে ৩ কেজি করে চাল কম দিচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে গত ২৪ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার মাধবপাশা ইউনিয়নের সাগরের পার ডিলার মো. কাজী ফেরদৌস দুই মাসের চাল ৬০ কেজি পরিবর্তে ৫৫ কেজিকরে চাল দিতে দেখা গেছে। এসময় সুবিধাভোগীরা চাল কম পাওয়ায় সাংবাদিকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ডিলার মো. কাজী ফেরদৌস চাল কম দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ৩০ কেজি চাল বিতরণ করলে কোন ডিলারের ই কোন লাভ থাকে না। যাতায়াত খরচ, লেবার খরচ সহ বিভিন্ন জায়গায় বকশিশ দিতে হয় এজন্য তারা কিছু কম দেয়। কম সময়ে বিতরণের সুবিধার্থে বালতি দিয়ে চাল মেপে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোসা. রুবিনা পারভিন জানান, চাল মাপে কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাদেরকে কেজি প্রতি দুই টাকা লাভ ধরে দেয়া হয়।