২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জিনিয়া খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রীর জানাজায় অংশ নিতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলছাত্রী জিনিয়া একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ওই গ্রামের জিল্লুর শেখের মেয়ে।
এর আগে গতকাল বিদ্যালয়ের ছাদে বসে পাঁচ ছাত্রীর ধূমপানের দৃশ্য ফোনে ভিডিও করেন কয়া সুলতানপুর মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক।অভিযোগ উঠেছে ভিডিও করার পর ওই ছাত্রীদের ডেকে বকাঝকা করা হয় এবং সেই ভিডিও অভিভাবকদের দেখানো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান ওই শিক্ষক।
পরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি এসে ভয়ে এবং অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জিনিয়া খাতুন নামের ৭ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে স্কুলছাত্রী জিনিয়ার মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নিজ গ্রামে জিনিয়ার লাশের জানাযার আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার স্বজন এবং এলাকাবাসী। এসময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বিশ্বাসসহ আরও কয়েক শিক্ষক জিনিয়ার নামাজে জানাজায় অংশ নিতে সেখানে উপস্থিত হন।
জিনিয়ার লাশের পাশে থাকা জিনিয়ার নানা কয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার গাজীরুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গাজিরুল প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দু’জনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের এক পর্যায়ে উপস্থিত জনতা চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়।
এসময় কুমারখালী থানা পুলিশ এসে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমারখালী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে ধূমপান করার বিষয় নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করাকালীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে আসলে তাকে মারপিট করা হয়। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।