২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার পৌর এলাকার মানচিত্র এমনিতেই ছোট করে দিয়েছে সুগন্ধা নদী। পৌরসভার ৮,৭ ও ৫নং ওয়ার্ডগুলোতে সুগন্ধা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিনে দিনে ছোট হয়ে যাচ্ছে পৌর এলাকার মানচিত্র। কমে যাচ্ছে ব্যবহারযোগ্য ভূমির পরিমান। এরই মাঝে পৌর এলাকার বড় একটা জুড়ে আছে পরিত্যক্ত বিভিন্ন সরকারি ভবন। যেগুলো কোন একসময় ব্যবহার করা হলেও এখন সম্পূর্নরুপে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৯ সালে নলছিটিতে সরকারিভাবে একটি শিশুপার্ক করার উদ্যেগ নেয়া হলেও পৌর এলাকায় সুবিধামত জায়গার সংকুলান না হওয়ায় সেই প্রকল্প বাতিল করা হয়। অথচ সরকারিভাবে একটি শিশুপার্ক নির্মান করা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবি।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান জানান, নলছিটিতে সরকারি পুরনো অনেক ভবন আছে যেগুলো এখন আর ব্যবহার হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এসব ভবন পরে থাকায় ভবনের আশেপাশে পানি জমে এখন এডিস মশার উৎপাদনকেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। এসব ভবন ভেঙে ভুমি উদ্ধার করে নলছিটিতে যেসব প্রতিষ্ঠান নেই সেগুলো এসব জায়গায় করা যেতে পারে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেললে সেখানে যে পরিমান জায়গা বের হবে তাতে একটি পার্ক করার যথেষ্ট হবে বলে আমি মনে করি।
নলছিটি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললেও তারা জানাতে পারেনি পৌর এলাকায় কি পরিমান পরিত্যক্ত ভবন আছে এবং তাতে কতটুকু ভুমি অব্যবহৃত পরে আছে। তাদের কাছে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার পৌর এলাকার পুরাতন কারাগার ভবন,মালিপুর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবন,উপজেলা পরিষদ ভবন সংলগ্ন পুরনো সরকারি কোয়ার্টার,মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন এরশাদ ভবন নামে পরিচিত পুরনো ভবন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু পরিত্যক্ত সরকারি ভবন। এর মধ্যে একসময় কয়েদী রাখার জন্য পুরাতন উপজেলা কারাগারের পরিত্যক্ত অব্যবহৃত ভবন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভুমির বড় একটা অংশ দখল করে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম বলেন, নলছিটির বিভিন্ন সরকারি পরিত্যক্ত ভবনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন ভবনের অনেক লোহার মালামাল চুরি হয়ে গেছে, উন্মুক্ত এসব জায়গায় রাতের বেলা মাদকসেবীদের আড্ডা জমে। এছাড়া এখানের কিছু জায়গা বেদখল হয়ে আছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা গায়ের জোরে সড়কের পাশের কিছু অংশে অবৈধভাবে দখল করে দোকান উঠিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন। প্রশাসনের উচিত এসব ভবন ভেঙে সরকারি সমস্ত জমি উদ্ধার করে নতুন দরকারি ভবন তৈরি করা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জান্নাত আরা নাহিদ জানান, আমাদেরও ইচ্ছা এই ভবনগুলো ভেঙে নতুন ভবন বা প্রতিষ্ঠান করে ভুমির যথাযথ ব্যবহার করার, কিন্ত এখানে কিছু আইনি বিষয় আছে। যেগুলো মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। কিছু ভুমি আছে যা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের তত্ত¡বধানে আবার কিছু ভুমি আছে স্ব স্বা প্রতিষ্ঠানের নামে তাই তাদের সবার সাথে সম্বনয় করে এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর কেউ যদি এসব জায়গায় দখলের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া বলেও তিনি জানান।