২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
সিলেটে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জনজীবন

সিলেটে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে জনজীবন

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গত কয়েক দিনে গোঠা সিলেটে জনজীবন তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। হঠাৎ করে সিলেটের পরিবেশ হয়ে ওঠেছে অসহনীয়। এ অবস্থায় দীর্ঘ লোডশেডিং পরিস্থিতিকে আরো গুরুতর করে তুলেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়োবৃদ্ধ লোকজন ও শিশুরা। অসুস্থদের অসুস্থতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এই প্রচন্ড গরমে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২-৩ দিন এটা অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে এ বছর সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয়েছে। এর ফলে এ বছর সিলেট অঞ্চলে গরমটা বেশী অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলেই সিলেট নগরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে আসবে। এদিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে তাপদাহে দগ্ধ সিলেট বিভাগের মানুষের ওপর। রোববার সকাল থেকেই সিলেট বিভাগে বেড়েছে লোডশেডিং। ৪ শতাংশ লোডশেডিং করা হয়েছে ৩৬ শতাংশ, যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন কর্তৃপক্ষ।
এক সময় সিলেট জেলাসহ সিলেট বিভাগ ছিলো বৃষ্টিবহুল শীতল অঞ্চল। পাহাড় টিলা জঙ্গল বেষ্ঠিত এই জনপদের শান্ত শীতল পরিবেশ রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান ছিলো সিলেট। অনেকে সুযোগ পেলেই বেড়াতে আসতেন, অবকাশ যাপন করতে আসতেন সিলেটে। কিন্তু দিন যতো যাচ্ছে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গাছপালা বৃক্ষনিধন ও টিলা পর্বত নির্বিচারে কাটার ফলে সিলেটের ভূপ্রকৃতির সাথে সাথে এর আবহাওয়ায়ও পরিবর্তন এসেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে এ অঞ্চলের নগর ও শহর গুলোর বায়ুদূষণ।
সিলেট অঞ্চলের এক সময়ে এই অনন্য ও অতুলনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও এর আগের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বিচারে বৃক্ষ ও টিলা কর্তন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের বৈরী আবহাওয়া বিশেষভাবে তাপদাহ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে না।
উষ্ণতা বৃদ্ধি ও তাপদাহ থেকে বাঁচতে সিলেট অঞ্চলসহ দেশব্যাপী অধিক হারে বৃক্ষরোপন এবং শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বাগান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি নতুন বাড়িঘর ও ভবন নির্মাণের সময় গ্রীণ অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব ভবন ও স্থাপনা নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী দিন গুলোতে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ আরো বাড়তে পাওে যেহেতু দেশে স্থায়ী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি বিগত বছর গুলোতে। এ অবস্থায় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও তাপদাহ থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ও স্থাপনা নির্মাণে আধুনিক পরিবেশ বান্ধব নকশা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় তীব্র গরম ও তাপদাহে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ বেড়ে জীবনযাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হওয়ার সমূহ আশংকা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019