২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স :: ‘টাকার শোকে আমার বাবা মারা গেছেন। সরকারী ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান যে টাকা নিয়েছেন তার সাক্ষী আছে। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও জানেন।
টাকা ফেরত নিতে চেয়ারম্যানের কাছে ৪-৫ মাস ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে টাকার শোকে আমার বাবা মারা যান’-কথাগুলো বলছিলেন, মৃত চান মিয়ার মেয়ে সেলিনা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়া শাসন গ্রামে।
আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমড়া শাসন গ্রামের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মোছা. রাহেলা খাতুনের (৬০) কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম বাবুল (৪৩) প্রায় ১ বছর আগে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ১৯ হাজার টাকা নেন।
সরকারী ঘর না দিয়ে বিভিন্ন বাহানায় রাহেলাকে ঘুরাতে থাকলে ভুক্তভোগী রাহেলা চেয়ারম্যানের কাছে টাকা ফেরত চান। চেয়ারম্যান টাকা দেই-দিচ্ছি করে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাতে থাকেন।
টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য নিহত চাঁন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঘুরছিলেন। এ নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, টাকা দেওয়ার বিষয়ে প্রথমে আমার জানা ছিল না। পরে বিষয়টি জেনে চেয়ারম্যান ‘সাহেবকে’ জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমি কারও কাছে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে কোনো টাকা নেইনি।ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা.হাফিজা জেসমিন জানান, ঘর হচ্ছে যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আর যেহেতু অভিযোগ হয়েছে, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।