২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.রুহুল আমিনকে অবশেষে বদলী করা হয়েছে। ১৩ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে আরও জানানো হয় ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে বদলীকৃত ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যোগদান না করিলে ১৮ জুলাই সে ষ্টান্ড রিলিজ বলে গন্য হবে। তিনি ২০২০ সালের আগষ্টের ২৩ তারিখ নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে অফিস খরচ দেখিয়ে শিক্ষকদের নিকট হতে টাকা আদায়,ল্যাপটপ বিতরণের অনুষ্ঠানের নামে ১১৫টি স্কুল থেকে দুইশত টাকা করে আদায়, প্রতিবছর স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দকৃত ২৫ হাজার টাকা অনুমোদনের জন্য অফিস খরচ বাবদ ৬ শত টাকা করে আদায়, ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ প্রতি স্কুল থেকে ৫/১০হাজার টাকা পর্যন্ত আদায়। স্কুল বাউন্ডারি বরাদ্ব এনে দেয়ার নামে ১৫/২০ হাজার টাকা চুক্তিতে নেয়া । যারা টাকা দেয় তাদের সুপারিশ করা সহ ২০২৩ সালে ৫৫ জন নবনিযুক্ত শিক্ষকের কাজ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রতি তিন বছর পরপর বিগত দিন থেকে ৫ শত টাকা করে আদায় করেছেন। যারা পায় সেই সকল শিক্ষকদের নিকট হতে। শিক্ষা অফিসের বাৎসরিক অফিস কনটিজেন্সি যথাযথ ভাবে খরচ না করে আত্মসাৎ করেন। উপজেলা আন্তক্রীয়া বরাদ্দ ১৬ হাজার টাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ ৪ হাজার টাকা শিক্ষা অফিসার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা অফিসারের দাবিকৃত টাকা বিভিন্ন সময় না দেয়ায় মালোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলিনা রানি গোস্বামী ও পূর্বচরকয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্লিপের টাকা আটকিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষকদের অনলাইন বদলীতে অনিয়মসহ নানান বিষয় নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে ভুক্তভোগীরা একাধিক অভিযোগ করেছেন যেগুলো এখন তদন্তাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রুহুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 