২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বরিশাল মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাবেক (ওসি) ও তার স্ত্রীর কারাদন্ড

বরিশাল মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাবেক (ওসি) ও তার স্ত্রীর কারাদন্ড

জামাল কাড়াল বরিশাল ব্যুরো প্রধান।

বরিশাল গৌরনদীর সাবেক ওসি ও রাজধানীর গুলশান জোনের সাবেক উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ফিরোজ কবিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ফিরোজ কবিরকে অর্থদণ্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ব্যর্থতায় তা দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি সাইফুল ইসলাম মিঠু সাজার বিষয়টি জানান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত ফিরোজ কবির এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্রাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বর্হভিূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লাখ টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যর্পূণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকুরি দেখিয়েছেন।
কিন্তু যে ধরনরে ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমকিভাবে প্রমানতি হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।
২০১৭ সালে বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে গৌরনদী মডেল থানা থেকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় ফিরোজ কবীরকে।একই বছরের ৩ অক্টোবর এই অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৯ সালে মামলাটি তদন্তের পর দুদক এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019