২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স॥ আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বরিশাল জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন (২০২৩-২০২৫) আমিন-মুসা-জসিম প্যানেল থেকে ১৬ জন জয় লাভ করে।অপরদিকে প্রতিপক্ষ প্যানেল থেকে ২জন নির্বাচিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (০৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে ভোটারদের উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল জেলা শাখার নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান পবিত্র চন্দ্র ঘোষ।
তিনি বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব খালেদ আকন্দ বলেন, নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য ১৮টি পদের বিপরীতে
৩৬ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন । ভোটার আছেন ৯০ জন।
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুসের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে জুয়েলারি ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। সভাপতির প্রত্যাশা সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুসের ছাতার নিচে নিয়ে আসা।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমাদের ৪০ হাজার সদস্য আছেন। এর আগে ১১টি জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর বরিশাল জেলা নিয়ে ১২ তম জেলায় আমাদের নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের সভাপতি চাচ্ছেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সারাদেশে নির্বাচনের আয়োজন করতে। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রের আশেপাশে প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারে সাজানো হয়েছে। শুরু থেকেই অশ্বিনী কুমার হল চত্বর ভোটারদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের বাইরে দুইটি বুথও স্থাপন করা হয়েছে। আর নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটাররা সৃ-শৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। এরপর ভোটার তালিকার সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে নির্বাচন বোর্ডের সদস্যরা ব্যালট তুলে দিচ্ছেন ভোটারের হাতে। পরবর্তীতে গোপন কক্ষে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বারিত বাক্সে ব্যালট ফেলছেন তারা।
পরবর্তীতে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সংসদীয় পদ্ধতিতে সভাপতি,সম্পাদক,সহ-সভাপতি,সহ সাধারন সম্পাদক ও কোষাধাক্ষ সহ ৬ জন সদস্য কাযকরি সদস্য মনেনিত থাকবে।