২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শত ফুল ফুটতে দিন, যে ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর সেটা আমি বেছে নেব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। ২০০৮ সালে নির্বাচন ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ রয়েছে এবং গণতন্ত্র অব্যহত আছে বলেই দেশটার উন্নতি হয়েছে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেই সঙ্গে মানুষের ভেতরে আস্থা বিশ্বাস ফিরে এসেছে, দারিদ্রবিমোচন হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে, সবদিক থেকে উন্নতি হয়েছে। এমন দেশে ইলেকশন আসলে স্বাভাবিকভাবে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা থাকবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর নির্বাচন যখন হবে তখন কাকে প্রার্থী করা হবে, কাকে প্রার্থী করা হবে না এ বিষয়ে আমাদের দলেরও একটা লক্ষ্য থাকে।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যখন হওয়ার কথা তখনই হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজে ভোগ করতে ক্ষমতায় আসিনি, মানুষের উন্নতি করেছি: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘ইলেকশন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হোক- এটা তো আমাদেরই দাবি। আপনারা একটু ১৯৭৫ সালের ১৫ আহস্টের পরের কথা চিন্তা করেন। তখন প্রতিটি ইলেকশন কী হতো। তখন তো ইলেকশন বলে কিছু ছিলো না। মানুষের কোনো ভোটের অধিকার ছিলো না। মানুষের সমস্ত ভোটের অধিকার একটা জায়গায় বন্দি ছিল। আমরাই তো অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জনতার ক্ষমতা জনতার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই দেশের মানুষের কাছে তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি বলেই গণতান্ত্রিক পরিবেশে যখন ইলেকশন হবে, তখন অনেকেই প্রার্থী হতে পারে। প্রার্থী যদি হয়, শত ফুল ফুটতে দিন, যে ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর সেটা আমি বেছে নেব। আমার উত্তর পরিষ্কার।’
গত ১৩ জুন চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে ১৭ জুন দেশে ফেরেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।