২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জামাল কাড়াল বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।
দেশের নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ৭টি বিভাগের ২৫টি জেলায় ১০০ টি সেতুর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে অপার সম্ভাবনার উন্মোচন করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা (এমপি) মহোদয়।
আজ সোমবার, ৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ০৭ টি বিভাগের সাথে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি “শত সেতু’র” শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম-বার মহোদয় বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে সকল পর্যায়ের বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সাথে উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ-সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোন ও ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যসহ দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদ’দেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বলেন, “দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জাতির পিতার উদ্দেশ্য। তাইতো জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপান্তরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন।
জাতির পিতা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি যমুনা নদির উপর সেতু নির্মাণের জন্য জাপান সরকারের সাথে যোগাযোগ করেন যার প্রেক্ষিতে এটা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণেরও জাতির পিতার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা কে হত্যা করে যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তারা উন্নয়নের এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে পারেনি। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে করে যাওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন”
৭টি বিভাগের ২৫টি জেলায় অবস্থিত সর্বমোট ৫,৪৯৪ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘শত সেতু’ দেশের অনগ্রসর জনপদের গণমানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধকতাহীন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনের
অভিলক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে সৃজিত হবে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এক অভাবনীয় ইতিহাস।
সারাদেশের উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন দ্রুত, সহজতর ও নিরাপদ হয়ে উঠবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে দুর্গম এলাকার জনগণের দ্বারপ্রান্তে। খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে সামষ্টিক অর্থনীতি হবে গতিময়, জনজীবন হবে আরও সুখী ও সমৃদ্ধ । পাহাড়ি, হাওর ও অন্যান্য বিচ্ছিন্ন জনপদের মানুষের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আপন জ্যোতিতে নিত্য ভাস্বর হয়ে আলোকিত করবে সমগ্র বাংলাদেশকে।
১০০ টি সেতুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৭টি এবং রংপুর বিভাগে ৩টি সেতু নির্মিত হয়েছে।
বরিশাল থেকে সংযুক্ত বিভাগীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জনাব জাহিদ ফারুক শামীম এমপি, মাননীয় মেয়র বরিশাল সিটি কর্পোরেশন জনাব সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মোঃ আমিন উল আহসান, রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল জনাব এস এম আখতারুজ্জামান, অধিনায়ক র্যাব-৮ বরিশাল জনাব লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, বিপিএম- সেবা, পিপিএম, জেলা প্রশাসক বরিশাল জনাব জসিম উদ্দিন হায়দার, সহ সকল জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সকলে।