২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ডেস্ক প্রতিবেদক ॥ বিজেপির বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে লুকআউট (নজরদারি) নোটিশ জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। আজ শনিবার এ নোটিশ জারি করা হয়।
গত ২৬ মে এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন নূপুর শর্মা। বিজেপির দিল্লি শাখার গণমাধ্যমপ্রধান নবীন কুমার জিন্দালও মহানবী (সা.) সম্পর্কে টুইটারে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। তুমুল সমালোচনার মুখে নূপুর শর্মাকে সাময়িক বরখাস্ত ও জিন্দালকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে দেশ–বিদেশে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কে ফাটল ধরে। অনেক দেশ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। কাতারসহ কয়েকটি দেশ সেই দেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আপত্তির কথা জানান।
এর আগে কলকাতার নারকেলডাঙ্গা ও আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা হলে ওই দুই থানা থেকে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে শমন জারি করা হয়।
তাঁকে অবিলম্বে দুটি থানায় হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু থানার সেই আবেদনে সাড়া দেননি নূপুর শর্মা। অবশেষে আজ কলকাতা পুলিশ এ নোটিশ জারি করল। এ নোটিশ পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানা ও বন্দরে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্যকেও গ্রেপ্তারের জন্য কলকাতা পুলিশ অনুরোধ করতে পারবে।
গতকাল শুক্রবার এই নিয়ে দায়ের করা মামলার জেরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নূপুর শর্মাকে তাঁর অপরাধের জন্য অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্ট এ কথাও জানিয়ে দেন, দেশের বর্তমান অশান্তির জন্য দায়ী নূপুর শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর বিজেপির ওই দুই মুখপাত্রের ঘৃণার ভাষণের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করার দাবিও জানান। তিনি বলেন, ‘এই ভাষণে যে শুধু হিংসা ছড়ায়, তা–ই নয়, আমাদের দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিও ক্ষুণ্ন হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সব ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষকে শান্তি বজায় রাখারও আবেদন জানান।
অন্যদিকে কলকাতায় বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারাও দাবি তুলেছেন, এই ঘটনার জন্য শুধু নূপুর শর্মা নয়, বিজেপিও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাক।