২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
১০ মাস পর তরুণী জানতে পারলেন, তাঁর ‘স্বামী’ নারী

১০ মাস পর তরুণী জানতে পারলেন, তাঁর ‘স্বামী’ নারী

অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী (২২) বিয়ের ১০ মাস পর জানতে পারলেন, এত দিন যাঁর সঙ্গে সংসার করে আসছিলেন, তিনি আদতে নারী। তবে তরুণী নিজে বিষয়টি টের পাননি। পুলিশি জেরায় ‘স্বামী’ বেশে থাকা নারীই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ধরা পরার আগমুহূর্ত পর্যন্ত ছদ্মবেশে ছিলেন তিনি। খবর জিও নিউজের ১৪ জুন ইন্দোনেশিয়ার জামবি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে সেই ছদ্মবেশী স্বামীকে হাজির করা হয়। এরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, ডেটিং অ্যাপে ২০২১ সালের মে মাসে ছদ্মবেশী স্বামীর সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই স্বামী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্জন ও কয়লা ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। পরিচয়ের তিন মাসের মাথায় তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন।

বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় ওই ছদ্মবেশী স্বামীকে নিয়ে নিজের মা-বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ওই তরুণী। তবে এ সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে ছদ্মবেশী স্বামীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথি চায় কনের পরিবার। কিন্তু তিনি তা দিতে ব্যর্থ হন। পরে ওই তরুণীকে নিয়ে ছদ্মবেশী স্বামী দক্ষিণ সুমাত্রায় পাড়ি জমান। ভুক্তভোগী তরুণী জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুমাত্রায় নিয়ে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।

তরুণীর ভাষ্য, পরিচয়ের পর থেকে সেই স্বামী তাঁর কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সুমাত্রায় আটক থাকা অবস্থায় তাঁকে নদীতে ঝাঁপ দিতেও বলা হয়েছিল। যদিও তাঁর ছদ্মবেশী সেই স্বামী জানতেন, ওই তরুণী সাঁতার জানেন না। তরুণীর মতে, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নদীতে ঝাঁপ দিতে বলা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে ওই ভুক্তভোগী তরুণী ও ছদ্মবেশী স্বামীকে খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর পুলিশি জেরার একপর্যায়ে ওই ছদ্মবেশী স্বামী তাঁর পরিচয় স্বীকার করেন। এরপর অনেকেই ওই তরুণীর কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন, কেন তিনি জানতে পারেননি ছদ্মবেশী স্বামী আসলে একজন নারী। এর উত্তরে তিনি বলেছেন, সংস্পর্শে যাওয়ার আগে তাঁর স্বামী ঘরের আলো নিভিয়ে দিতেন ও তাঁর (তরুণী) চোখ বেঁধে ফেলতেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019