২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
নৌকায় স্কুলশিক্ষিকার বেলি-ড্যান্স, চাকরি থেকে বরখাস্তের পর তালাক দিলেন স্বামীও; অতঃপর…

নৌকায় স্কুলশিক্ষিকার বেলি-ড্যান্স, চাকরি থেকে বরখাস্তের পর তালাক দিলেন স্বামীও; অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক

মিসরে বেলি-ড্যান্স করায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে তালাক দিয়ে ঘরছাড়া করেছেন তার স্বামীও।

যদিও বেলি-ডান্সের উৎপত্তি ফ্যারাওদের যুগে। কিন্তু এখনও বেশির ভাগ নারীকে জনসমক্ষে বেলি-ডান্সের সময় তাচ্ছিল্যের চোখেই দেখা হয়।

বেলি-ডান্সের জন্য সমাজের মানদণ্ডে মাপার রীতি নতুন নয়। এবার সেই মাপকাঠিতে মাপা হল স্কুলশিক্ষিকা আয়া ইউসুফকে।
দোষ হিসেবে নীল নদে নৌকার উপরে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বেলি-নাচ করার সময় একজন সহকর্মী অনুমতি ছাড়াই তার নাচের রেকর্ড করেন। ভিডিওতে পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশিই নাচতে দেখা যায় তাকে।

আর এর মাসুল হিসেবেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় আয়া ইউসুফকে। তার স্বামীও তাকে ‘তালাক’ দিয়ে ঘরছাড়া করেন।
ভিডিওতে, আয়াকে ইসলামিক স্কার্ফ এবং একটি দীর্ঘ-হাতা পোষাক পরে নাচতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে আরব নেট মাধ্যমে এই ভিডিও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার পরে, এটি মিশরীয় রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

নেট মাধ্যমে সমালোচকরা দাবি করেছেন যে, তার এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। মিশরে শিক্ষা নিম্নস্তরে পৌঁছেছে বলেও অন্য একজন নেট মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন।

এর পরেই আয়াকে দাকাহলিয়া গভর্নরেটের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেখানে তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার কাজ করেছিলেন।

এই ঘটনার পরে সারাজীবন নাচ না করার প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।

এমনকি তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন বলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান। তবে এই পরিস্থিতিতে আয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মিশরে নারী অধিকার কর্মীরা। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, আয়া কিছু ভুল করেননি এবং তিনি সমাজের গোঁড়ামির শিকার।
তার সমর্থনে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার রক্ষায়, অন্য একটি স্কুলের উপ-প্রধান তার মেয়ের বিয়েতে নাচের ছবি নেট মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

ইজিপ্সিয়ান সেন্টার ফর উইমেনস রাইটসের প্রধান, ড. নিহাদ আবু কুমসান, আয়াকে তার অফিসে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বেআইনিভাবে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ দায়ের করতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও আয়াকে নতুন একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আয়ার অভিযোগ, তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে নাচেননি। তিনি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে নেচেছিলেন। একই সঙ্গে এই ভিডিওটি চিত্রায়িত করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019