২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধসহ নতুন করে একগাদা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী করোনার নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। এ সময় পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিস ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু রাখা যাবে। ভারতের হরিয়ানা, দিলি এবং উত্তর প্রদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে। কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় এবং জরুরি সেবা চালু থাকবে।
সোমবার থেকে নতুন এসব বিধি-নিষেধ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন এইচকে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, আগামীকাল (সোমবার) থেকে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পাশাপাশি সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন, বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
তবে বিধি-নিষেধ চলাকালীন যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজের উদ্যোগে উৎসাহিত করা হবে। কলকাতা মেট্রো পরিষেবা ৫০ শতাংশ সক্ষমতায় চালু থাকবে এবং স্থানীয় ট্রেন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে। দূরপালার ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে।
রাজ্যের সব শপিং মল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে শপিং মলে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রবেশের অনুমতি পাবে না।
বিয়ে এবং সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ২০ জনের বেশি মানুষ অংশ নিতে পারবেন না।
করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো : ১. সোমবার থেকে ব্রিটেনের কোনও বিমানকে কলকাতায় নামতে দেওয়া হবে না। ২. সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ৩. সন্ধ্যা ৭টার পর রাজ্যে সব লোকাল ট্রেন বন্ধ। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো এবং লোকাল ট্রেন। তবে চলবে দূরপালার ট্রেন।
৪. সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে ৫০ ভাগ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানতে হবে। ৫. রাত ১০টার পর বন্ধ সিনেমা হল। ৬. সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক নয়। ৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা। ৮. রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে। মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৯. ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে সভা-বৈঠক-সমাবেশ করা যাবে।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শনিবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৫১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে; যা ভারতের সব রাজ্যের হিসেবে মহারাষ্ট্র এবং কেরালার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ধরণ ওমিক্রনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।