২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনএফ ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধি দল, ছবি: পিআইডি
বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনএফ ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধি দল, ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট। ইমানদার ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনসহ চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে দল দুটি এই প্রস্তাব দেয়। বিএনএফের প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে।
সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার দল প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন গঠনে দুইজন অধ্যাপক, একজন করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছি আমরা।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আমাদের দল নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী আইন চায়। রাষ্ট্রপতিকে তা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রস্তাবগুলো শুনেছেন।
ফলো করুন-
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আইন প্রণয়ন না হলে ইমানদার ও আমানতদার ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি করার প্রস্তাব করেছি। কমিটিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন আলেমকে রাখতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিএনপি জোটের সাবেক শরিক ইসলামী ঐক্যজোট নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে দাবি থেকে সরে এসেছে। রাষ্ট্রপতিকে দলটি বলেছে, নির্বাচনকালে যে ধরনের সরকারই থাকুক, তারা যেন নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ভোটের সময় কমিশন থেকে প্রত্যাহার করারও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বঙ্গভবনের প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনীতিতে আর্থিক বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দলের নীতি-আদর্শকে মূল্যায়ন করতে হবে। গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার পর্যন্ত সাতটি দল এই সংলাপে অংশ নিয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি গণফোরাম ও বিকল্প ধারা এবং ৩ জানুয়ারি গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে। বিএনপি সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।