২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাধারণত বিশ্বব্যাপী নারীদের সম্পদের সমান অধিকার নেই। এ ছাড়া অনেক সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে না এবং প্রায়ই বিভিন্ন নিম্নমজুরি ও মজুরিহীন কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করা হয়। এসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পুরুষের চেয়ে নারীদের ওপর বেশি পড়ছে।’
মঙ্গলবার স্কটিশ প্যাভিলিয়ানে ওইম্যান ক্লাইমেট লিডারশিপ ইভেন্ট-কপ-২৬: উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ভালনারেবল ও প্রান্তিক মানুষজনই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও মেয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তনের সাড়া প্রদানে নারীদের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।’ এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সমাধানে নারীদের জড়িত করতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নারীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি চিহ্নিত করতে তাদের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় স্থান দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর এটা নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে।’
পরে প্যানেল প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (এনএপিএ) অভিযোজন সমাধানের অংশ হিসেবে ব্যাপকভাবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতি, কৌশল ও পদক্ষেপে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার ন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে।
তিনি সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বলেন, আমাদের সরকার জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং (জিআরবি) চালু করেছে, এতে সব নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মূলধারায় নারী উন্নয়নে প্রায় ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রেখেছে।
বৈজ্ঞানিক সত্য হচ্ছে পুরুষের চেয়ে নারী সহনশীল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কঠিন পরিস্থিতিতে নারীরাই প্রথমে তাদের পরিবার পরিজনের যত্ন নিতে ঘুরে দাঁড়ায়।