১৯ মে ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে তালেবান, চরম উদ্বিগ্ন আমেরিকা।

কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে তালেবান, চরম উদ্বিগ্ন আমেরিকা।

অনলাইন ডেস্ক
সেনা প্রত্যাহার পর্ব চলাকালীনই আফগানিস্তানে নতুন করে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। তবে তালেবানের আগ্রগতি ঠেকাতে নয়, আফগানিস্তানে কর্মরত মার্কিন নাগরিকদের ‘মসৃণভাবে’ দেশে ফেরাতে।

জো বাইডেন সরকারের পররাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, আমেরিকার নাগরিকদের পাশাপাশি আমেরিকায় ভিসার আবেদন মঞ্জুর হওয়া বিদেশিরাও এই সেনা-নিরাপত্তার সুযোগ পাবেন। মূলত কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেখভালের কাজেই লাগানো হবে ৩,০০০ সেনার নয়া বাহিনীকে।

এরই মধ্যে শুক্রবার রাজধানী কাবুলের মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গিয়েছে তালেবান বাহিনী। লোগার প্রদেশের রাজধানীম পুল-ই-আলম ইতোমধ্যে তারা কব্জা করেছে বলে খবর মিলেছে। ওই প্রদেশ থেকে আফগান পার্লামেন্টে নির্বাচিত নেতা সাঈদ কারিবুল্লাহ সদর বলেছেন, ‘‘প্রাণভয়ে মানুষ পুল-ই-আলম ছেড়ে পালাচ্ছে। ”

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার বলেন, “আফগানিস্তানে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা আমেরিকান সংস্থা এবং তাদের সহযোগীদের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ”

আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের নির্দেশে আমেরিকার সেনাকে আফগানিস্তানে কর্মরত বেসামরিক কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

৯/১১- এর হামলার পর থেকে প্রায় দু’দশক বিদেশি সেনা মোতায়েন ছিল আফগানিস্তানের মাটিতে। ২০০১ সালের অক্টোবরে প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার আমেরিকান সেনা তালেবান দমন অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন এনডিওরিং ফ্রিডম’।

পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন-সহ ন্যাটো জোটের বাহিনীও ওই অভিযানে শামিল হয়েছিল। ২০১১ সালে আফগানিস্তানের মোতায়েন বিদেশি সেনার সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ‘নেভি সিল’-এর অভিযানে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরে ধাপে ধাপে সেনা কমানো শুরু করে আমেরিকা। চলতি বছরের গোড়ায় আমেরিকার প্রায় ৫ হাজার সেনা আফগান জনতার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিল। কিন্তু বাইডেনের নির্দেশে জুলাইয়ের গোড়ায় সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় এখন তা ২ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।

প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছিল আফগান রাষ্ট্রপতি-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা দেখভাল করতে ৬৫০ জন সেনা কাবুলে রাখবে আমেরিকা। কিন্তু পরবর্তীকালে তা নিয়েও ‘ভাবনাচিন্তা’ শুরু হয়েছে।

গত বছরের গোড়ায় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তী পরিস্থিতিতে তালেবান মোকাবিলার ভার আফগান সেনাকে দেওয়ার জন্য তার কয়েক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। আফগানিস্তানের প্রায় ৩ লাখ ফৌজের বাহিনীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করার দায়িত্বও নেয় পেন্টাগন।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে আমেরিকা যা খরচ করেছে তার ৬০ শতাংশই হয়েছে আফগান সেনার জন্য। মোট হিসেবে প্রায় ৮,৯০০ কোটি ডলার। কিন্তু আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পর যেভাবে একের পর এক প্রদেশে তালেবান দখলদারি শুরু হয়েছে, তাতে কাবুলের পতন এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে পেন্টাগন। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে তাই আমেরিকার একমাত্র লক্ষ্য, দ্রুত বেসামরিক নাগরিকদের দেশে ফেরানো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019