১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শের বাহাদুর দেউবা। সোমবার (১২ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টের অচলাবস্থা নিরসনে নেপালের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারিকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শের বাহাদুর দেউবা শপথ নেবেন। আর ১৮ জুলাই বসবে সংসদের নতুন অধিবেশন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেশের সুপ্রিম কোর্ট সংসদ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতায় সে দেশের সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। দুই মাস আগেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি আস্থা ভোটে হেরেছেন। তারপরেও তিনি সংখ্যালঘু সরকার গড়ার চেষ্টা করে গেছেন।
নেপাল কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই ঘটনায় ইন্ধন ছিল রাষ্ট্রপতির। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শামসের রানার বেঞ্চ রাষ্ট্রপতির সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বাতিল করেছে। পাশাপাশি খারিজ করেছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেপি ওলির কার্যভারকে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন ওলি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেউবাকে তুলে ধরে ১৪৯ জন সাংসদের একটি পিটিশন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নেপাল কংগ্রেসের নেতা দেউবার দিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থন ছিল।
নেপাল সংসদে নিম্নকক্ষ ২৭১ সদস্যসংখ্যা বিশিষ্ট। সরকার গড়তে দরকার ১৩৬। কিন্তু ১৪৯ জন সাংসদের সেই পিটিশন খারিজ করে ওলিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৪৬ জন সাংসদ।
তারা আবেদনে জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ। তারপরেই অবিলম্বে দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে বার্তা পাঠায় শীর্ষ আদালত।