২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভারতজুড়ে একের পর এক মৃত্যু। নানাভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে সরকার। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি অবসাদগ্রস্ত করে দিচ্ছে অনেককেই।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সার্ফের মোড় এলাকার বাসিন্দা মনিকা নিয়োগী কয়েক দিন আগেই করোনা পরীক্ষা করান। তবে তার রিপোর্ট আসেনি। কিন্তু করোনার উপসর্গ রয়েছে তার শরীরে। সে কারণে তিনি আইসোলেশনেই ছিলেন।
অন্যদিকে তার স্বামী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এলাকাটিকেও কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এদিকে এসবের মধ্যে শনিবার (১৫ মে) ওই বাড়ির ছাদে ৫৭ বছর বয়সী মনিকা নিয়োগীকে অস্বাভাবিকভাবে পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। তার মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। পাশে পড়েছিল মুড়ি ও ফিনাইলের শিশি।
পুলিশের দাবি, সম্ভবত অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী। কিন্তু কিসের থেকে এই অবসাদ? স্বামী করোনায় আক্রান্ত বলে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে অভিজ্ঞমহলের ধারণা করোনার দাপট তো রয়েছেই। এর সঙ্গেই মনের মধ্যে জাঁকিয়ে বসছে নানা ধরনের ভয়। অবসাদও গ্রাস করছে অনেককে। এ ব্যাপারে বাড়ির অন্যদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।