২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ওয়েব ডেস্ক
পার্বতী দেবী, ওম দত্ত শর্মা ও দীপক; কিছুক্ষণ আগেও কেউ একে অপরকে চিনতেন না। অথচ ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে অক্সিজেনের প্রয়োজনে, জীবন বাঁচানোর জন্য একাত্ম হয়েছেন তারা। বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে মাত্র এক সিলিন্ডার অক্সিজেনই ভাগাভাগি করে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন এই তিনজন।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) অক্সিজেন সংকটের মুখে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওম দত্ত শর্মার পরিবারের স্বজনদের দাবি, হাসপাতালে একটিও স্ট্রেচার ছিল না যেখানে শোয়ানো যেতে পারে। মেঝেতে জায়গা ছিল। তাই সেখানেই রাখা হয়েছে। এরপর হয়তো জায়গা না ও পেতে পারি।
ওম দত্তের ১৮ বছরের দাদুর পাশে কাঁদছিলেন। কয়েক দিন আগেই ওম দত্তের ছেলে অর্থাৎ তার বাবা একইভাবে মারা গেছেন। বাবাকে হারানো রাতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “এই হাসপাতালে কোনও বিছানা ছিল না। সিকিউরিটিরা আমাকে চলে যেতে বলেছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্টের জন্য বাবার মুখ দিয়ে রক্ত বেরতে শুরু করে। কোনোরকমে এখানে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আধ ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ!
প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি অক্সিজেন সংকটও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে ভারতের দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ২০ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে মোদি সরকারকে প্রয়োজনে চুরি করে হলেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।