২২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া টেকসই জাতি গড়া সম্ভব নয়……….ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে : জামায়েত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ
চাঁদাবাজি মামলার আসামির থানায় জন্মদিন উদযাপন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

চাঁদাবাজি মামলার আসামির থানায় জন্মদিন উদযাপন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
সাভার মডেল থানা ইন্সপেক্টরের অফিস কক্ষে অনাড়ম্বর পরিবেশে কেক কেটে ‘চাঁদাবাজি মামলার আসামির’ জন্মদিন উদযাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা।

তার নাম রিপন সরদার ওরফে রায়হান ইসলাম। সাভারের দিলখুশাবাগ এলাকার মো. গুলজারের ছেলে। নিজের ফেসবুক ওয়ালে নিজেকে সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দাবি করেন।

গতকাল রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রায়হান ইসলাম নামে একটি ফেসবুক আইডিতে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপনের কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, থানার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই শীর্ষ কর্মকর্তা আগত অতিথিকে জানিয়েছেন অভ্যর্থনা। বিশেষ ব্যক্তি হিসেবেই কদর পেয়েছেন রায়হান ইসলাম (ফেসবুক নাম) নামে এক যুবক। দুই কর্মকর্তার মধ্যমণি রায়হান তাদের হাতে হাত রেখে কেটেছেন নিজের জন্মদিনের কেক। পরে রায়হানের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সাভার মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। আরেক ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আল আমিন তালুকদার রায়হানকে কেক মুখে তুলে খাইয়েছেন রায়হান।

যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি রায়হান ইসলাম আইডি থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে এর আগেই ছবিগুলো বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ে অনেকেই করছেন বিরূপ মন্তব্য। ঠাট্টা, মশকারা এবং বিদ্রূপ মন্তব্যে সাভার মডেল থানায় কথিত ওই ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন পালন করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

জেনিথ ইসলাম নামে ফেসবুকে একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘তিনি (রায়হান) ছাত্রলীগের বিরাট নেতা। ঘটা করে থানায় পালন করা হয় তার জন্মদিন। সেই জন্মদিনে কেক কাটেন পুলিশের দুই ইন্সপেক্টর। এর আগে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেও মহিমান্বিত করা হয় তার জন্মদিনকে। এই না হলো মডেল থানা! এটাই দেখার বাকি ছিল।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কখনো ছাত্রলীগ নেতা আবার কখনো কর্মী পরিচয়দানকারী রায়হান মূলত ফুটপাতে চাঁদাবাজি মামলার আসামি। রিপন সরদার নামের এই যুবক নিজেকে কখনো পরিচয় দেন ছাত্রলীগ নেতা আবার কখনও কর্মী হিসেবে। তবে বাস্তবে উপজেলার ছাত্রলীগ কমিটিতেই তার কোনো পদ নেই।

গোপন কথোপকথনে তিনি এক সাংবাদিককে বলেন, ২০১৯ সালে চাঁদাবাজির মামলায় সাভার বাজার স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। তিন-চার জন দারোগা তাকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন জেলও খেটেছেন। যদিও এটা শত্রুতামূলক বলে দাবি করেন সরদার (রায়হান ইসলাম-ফেসবুক নাম)

এদিকে থানায় জন্মদিন পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না তো ভাই এরকম কিছুতো হয় নাই। আপনারে কে বলছে ভাই? আমার টাইমলাইনে গিয়ে দেখেন, ওইখানে আমার ছবি দেয়া আছে কিনা কিংবা আমি ছাড়ছি কিনা হয়তো বা কেউ এডিট করতে পারে। আপনি একটু ভালো করে বিষয়টা যাচাই করেন ভাই।’

রিপন সরদার বলেন, ‘ঘটনা সত্য হচ্ছে ভাই এটাই, আমার সঙ্গে একটা মানুষের সম্পর্ক থাকলে তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারি। এখন এটা যদি আপনারা সমালোচনার দিকে নেন তাহলে ওটা ওইভাবেই হবে।’

দলীয় কোনো পোস্ট আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না ভাই আমি কোনো লীগ করি না। ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম, এবার আমি ৭ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।’

থানায় জন্মদিন উদযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আল আমিন তালুকদার বলেন, ‘এটা ওই যে তদন্ত স্যারের রুমে আসছিল। বলল স্যার আমার জন্মদিন। স্যারে আমারে ডাকল, আমি গেলাম। একটা ফুলের শুভেচ্ছা দিল স্যাররে এই।’

তবে থানায় কর্মকর্তার রুমে কেক কাটা কতটুকু সমীচীন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে আমি বুঝতে পারি নাই।’

এদিকে সাভার মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একটা মানুষ যদি কেক আইনা কয়- ভাই আমার জন্মদিন কেকটা একটু কাইটা দেন এই আরকি। দুই-তিনজনে সুপারিশ করল এই জন্য করলাম। আসলে এগুলা যদি জানতাম যে ফেসবুকে দিবে পরিচিত হলেও আমি দিতাম না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-হিল কাফি বলেন, ‘যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে দুই কর্মকর্তা ঠিক কাজ করে নাই। ওনাদের (দুই কর্মকর্তাকে) সতর্ক করা হয়েছে। কারও সঙ্গে ছবি তুলতে হলে দেখে শুনে ভেবে তোলা উচিত।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019