২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জার্মানির একটি নার্সিং হোমে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার পরেও ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে না নেওয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানায়, ওসনাব্রুক শহরের বেল্ম এলাকার একটি নার্সিং হোমে যুক্তরাজ্যের নতুন ধরন বা স্ট্রেইনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
নার্সিং হোমটির সবাই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ আগেই নিয়েছিলেন। ২৫ জানুয়ারি তারা দ্বিতীয় ডোজ নেন।
তারপরও গত সপ্তাহের শেষ দিকে করোনা পরীক্ষায় ১৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষার আগে তাদের কারো শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। টিকা নেওয়ার পরেও তাদের মধ্যে কীভাবে করোনা সংক্রমিত হলো বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি এড়াতে লকডাউন তাড়াতাড়ি তুলে না দেওয়ার জন্য সরকারকে সতর্ক করেছেন বাভারিয়া অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোয়ডার।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া এ পর্যায়ের কড়া লকডাউন চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে, বর্তমান অবস্থায় লকডাউন আরো বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে আগামী বুধবার চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ১৬টি অঙ্গরাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে স্যোয়ডার বলেন, আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন বাড়ানো উচিত।
লকডাউন এখনই তুলে দেওয়া বোকামি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি সবকিছু আবার খুলে দিলে আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি এখন যা আছে তার চেয়েও খারাপ হতে পারে৷ এখন যদি আমরা আবার ভুল করি, তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে।