২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম.এ.আর.নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আহাম্মদের হাত থেকে বিদ্যালয় বাঁচানোর দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার (২৪শে জানুয়ারি) সকাল ১০টার সময় আন্দুলবাড়িয়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নাহিদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে, রমজান আলীর উপস্থাপনায় অযোগ্য প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটি অপসারণের দাবিতে ৯ দফা দাবি তুলে ধরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন ফেলা, বিদ্যায়টির সাবেক ছাত্র হাসিবুল ইসলাম, ইননাল হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান মুক্ত, রাকিবুল রুবেল প্রমুখ। মানববন্ধনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠান আমাদের এলাকার এর ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব ও আমাদের। কারণ এখানে লেখাপড়া করে আপনার আমার ভাই-বোন ও পরিবারের সদস্যরা। প্রধান শিক্ষক মমতাজ আহাম্মদ এখানে এসেছেন তার স্বার্থ হাসিলের জন্য। আজ এখানে আছেন কাল তিনি নাও থাকতে পারেন। তিনি এই স্কুলের একজন শিক্ষকার যেভাবে মানহানি করেছেন তা করা উনার মতো একজন মানুষের কখনোই ঠিক হয়নি। আমরা আশাকরছি ম্যানেজিং কমিটি তাদের ভুল বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। তা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা নাসিমা খাতুন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আহাম্মদের বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন দাবি করে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন পালন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী আলোচনা সভায় শিক্ষকা নাসিমা খাতুনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষিকা নাসিমা খাতুন নানা অনিয়মের কারণে এর আগেও কয়েকবার বিদ্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন এবং সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন৷ এছাড়া প্রধান শিক্ষক মমতাজ আহাম্মেদ ও একেবারে ধোয়া-তুলসী পাতা নই। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চাকুরি করার সময় তিনিও নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মমতাজ আহাম্মদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নাই। সমাজ ও বিদ্যালয় এলাকায় আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এসব করানো হচ্ছে। আমি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছি।
এছাড়া উক্ত প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে আন্দুলবাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সতর্কতার সাথে আশেপাশেই উপস্থিত ছিলেন।