২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
মেয়েকে অস্বীকার বাবার, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

মেয়েকে অস্বীকার বাবার, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছে মাকসুদা বেগমের। স্বামী মান্নান জোমাদ্দার ও তিন বছরের কন্যাসন্তান নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু বিধিবাম একপর্যায়ে স্বামী তাকে ও সন্তানকে অস্বীকার করতে শুরু করেন।

এর পর তাদের ঢাকায় রেখে নিজ এলাকায় পালিয়ে যান স্বামী। এখন শিশুর পিতৃ পরিচয় ও তার স্বীকৃতির জন্য দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন মাকসুদা বেগম।

সোমবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ভুক্তভোগী মাকসুদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথাগুলো জানান।

তিনি বলেন, আমার সংসারে তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। তার নাম তাইয়্যেবা। তাকে নিয়ে আমি এখন মানবতার জীবনযাপন করছি। এখন কোথায় যাব? কার কাছে যাব; কি করব? কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

তার অভিযোগ, সম্প্রতি কন্যাসন্তানকে নিয়ে স্বামী মান্নান জোমাদ্দারের বাড়িতে গেলে তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে গিয়েও আইনি সহায়তা পাচ্ছি না।

জানা যায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের রবিপুর গ্রামের মৃত হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মান্নান জোমাদ্দার ২০০৯ সালে একই গ্রামের মৃত মুনসুর আলী খানের মেয়ে মাকসুদা বেগমকে আইন মোতাবেক বিয়ে করেন।

বিয়ের পর তারা ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় কয়েক বছর সংসার করেন। এরই মধ্যে তাদের তাইয়্যেবা নামে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।

বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই স্বামী মান্নান তাকে ও তার তিন বছরের কন্যাসন্তানকে অস্বীকার করতে শুরু করেন। একপর্যায় তাদের ঢাকা রেখে তার নিজ এলাকায় পালিয়ে আসেন। উপায় না পেয়ে মাকসুদা বেগম তার সন্তান তাইয়্যেবাকে নিয়ে তার বাবা বাড়ি চলে আসেন।

ওই থেকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তার ও তার মেয়ের পিতৃত্ব পরিচয় ও তার স্বীকৃতি পেতে স্থানীয় সালিশদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন। এর পরও তিনি স্বীকৃতি পাননি।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছেন ওই নারী, আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019