২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বরিশালের ৪১ জন আইনজীবীর সনদ বাতিলের দাবি করা হয়েছে। আজকের ক্রাইম-নিউজ

বরিশালের ৪১ জন আইনজীবীর সনদ বাতিলের দাবি করা হয়েছে। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স:: হলফনামায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে বার কাউন্সিলের সনদ অর্জন করে বর্তমানে আইন পেশায় জড়িত না থেকেও নিজেদের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিতর্কে জড়ানোর অভিযোগে বরিশালের ৪১ জন আইনজীবীর সনদ বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সস্প্রতি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ আবেদনটি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম।
সূত্রমতে, আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বরিশালে ৪১ জন আইনজীবী হলফনামায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ হাছিল করেছেন। তারা বার কাউন্সিল আইন লংঘন করে বিভিন্নস্থানে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে পেশার সুনাম ক্ষুন্ন করছেন। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সনদ গ্রহণের পূর্বে আবেদনকারীকে বার কাউন্সিল অ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী অন্য পেশায় নিয়োজিত নন মর্মে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা প্রদান করতে হয়। কিন্তু ৪১জন আইনজীবী তথ্য গোপন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ চিরস্থায়ীভাবে আইন পেশা থেকে বহিস্কারের দাবি করা হয়েছে।

আইনজীবীর সনদ গ্রহণ করে অন্য পেশায় জড়িত এবং অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (সনদ নং ২৬৫)। তিনি বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মোঃ আব্দুর রহমান খান (সনদ নং ৩১৬) বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন পাইক (সনদ নং ৩৮০) বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। আব্দুল হাকিম (সনদ নং ৩৮৮) একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। আলী আসগর ফকির (সদস্য নং ২০৩) বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক। মুশফিকুর রহমান তালুকদার টুনু (সদস্য নং ২৩৮) বর্তমানে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার।

এবিএম আক্তারুজ্জামান খান (সনদ নং ৪৮১) অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য অফিসার। মোঃ আনোয়ারুল হক (সনদ নং ৪৭৭) বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। মোঃ নাসির উদ্দিন (বার কাউন্সিল সনদ নং ৪৯৮) বর্তমানে বরিশাল সিটি কলেজের ডেমোনেস্টেটর। সুনীল বরন হাওলাদার (সনদ নং ৫৩৪) বর্তমানে বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুলের শিক্ষক। মোঃ হানিফ মল্লিক (সনদ নং ৫৩৩) বর্তমানে তালুকদার হাট কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। সুজিত কুমার দেবনাথ (সনদ নং ৫৩২) বর্তমানে বরিশাল সিটি কলেজ অধ্যক্ষ। সুরুচি রানী কর্মকর্তা (সনদ নং ৫৬৭) বরিশাল সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। একেএম জালাল আহম্মেদ (বরিশাল আইনজীবী সমিতির সদস্য নং-৩০৫) বর্তমানে একটি কলেজের অধ্যক্ষ। শৈলেন্দ নাথ রায় (সনদ নং ৫৮১) বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মোঃ রফিকুল ইসলাম (সনদ নং ৫৮৮) বর্তমানে আলেকান্দা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মোঃ খলিলুর রহমান (সনদ নং ৪৮২) বর্তমানে সিএন্ডবির হিসাব রক্ষক। শুভাশিষ মন্ডল (সনদ নং ৬৯৪) বর্তমানে বাউফলের কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা কলেজের অধ্যাপক। মোঃ আব্দুল বারেক (সনদ নং ৫৮৯) বর্তমানে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ। মোঃ শাজাহান মিয়া (সনদ নং ৭৬০) বর্তমানে বাকেরগঞ্জের কাকরদা কলেজের অধ্যাপক।

এসএম ইলিয়াস উদ্দিন মল্লিক (সনদ নং ৭৮৬) বর্তমানে বিএসটিআই পিরোজপুরের কর্মকর্তা। দুলাল ব্যানার্জী (সনদ নং ৭৭৮) বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আরমান ফরিদ (সনদ নং ৭৯০) বর্তমানে স্বরুপকাঠি সরকারি পাইলট হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। সুব্রত চক্রবর্তী (সনদ নং ৮০১) কুড়িয়ানা কবি রবিন্দ্রনাথ কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ফাতেমা জোহরা বীনা (সনদ নং ৮১০) বর্তমানে মল্লিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার লিটন (সনদ নং ৮১৩) বর্তমানে ধাপড়কাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মোঃ শফিকুল আলম রিয়াজ (সনদ নং ৮৭২) বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী। মোঃ শহীদুল হক রিয়াজ (সনদ নং ৮৭৩) বর্তমানে ইউপি সচিব। মোঃ ফারুক বিন ওয়াহিদ (সনদ নং ৮৮৫) বর্তমানে রুপাতলী মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক। মোঃ সেলিম হোসেন (সনদ নং ৯৬৩) বর্তমানে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী। মো. নজরুল ইসলাম খসরু (সনদ নং ৯৫০) বর্তমানে নলছিটি ডিগ্রী কলেজের ডেমোনেস্টটর। আকতার ফারুক জাহিদ (সনদ নং ৯৮৫) বর্তমানে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

মোঃ আবুয়াল সাইদ মামুন (সনদ নং ১০৩১) বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রসেসর। রবিন্দ্র চন্দ্র দাস (বরিশাল সদস্য নং ৯০৯) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা। মোঃ জহিরুল ইসলাম (সনদ নং ৯৭৯) বর্তমানে উজিরপুর হাজী তাহের উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক। মোঃ মনিরুল ইসলাম (সনদ নং ৬০২) বর্তমানে চরকাউয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। লুনা মুন্সী (সনদ নং ৫৫৩) দপদপিয়া ইউনিয়ন কলেজের অধ্যক্ষ।

মোঃ খলিলুর রহমান-১ (সনদ নং ৫৯৮) পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ইউপি সচিব। দীপ শঙ্কর গুপ্ত (সনদ নং ৮০০) বর্তমানে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মোঃ মিজানুর রহমান বাচ্চু (বরিশাল সদস্য নং ৭৮০) বর্তমানে গলাচিপার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (সনদ নং ১০২১) বর্তমানে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019