২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তানজিম হোসেন রাকিব
দক্ষিণ বঙ্গের সর্ব বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারো সংঘাত হয়েছে ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের নীচ তলায় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ জালাল তালুকদারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোঃ আসিফের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে সেখানকার ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ।
দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় না আনা হলে আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার হাসপাতালটির অভ্যর্থনা কক্ষের পাশে লিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন কর্মচারী জালাল।
এসময় সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত লিফটে করে চতুর্থ তলায় পৌঁছে দিতে বলেন ডা.আসিফ। কিন্তু সেসময় হাসপাতালের মালামাল বহন করা হচ্ছিল বিধায় ডা. আসিফকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন জালাল। এই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে জালালকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন আসিফ।
বর্তমানে সেখানকার সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে আহত কর্মচারী জালাল। এই ঘটনা কাউকে জানালো হলে জালালকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে জানিয়ে হুমকি দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগ পত্রে। যে কারণে বিষয়টি কিছুটা গোপন ছিল।
পরবর্তীতে সেখানকার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেখানকার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে ডা.আসিফের মুঠোফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে অভিযোগ পত্র হাতে পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন।
তিনি মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘কর্মচারীদের মধ্যে থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আসিফের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী ঘটনা তদন্তের জন্য হাসপাতালের উপ পরিচালক জসিম উদ্দিন হাওলাদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে’।
তবে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে দাবি করে সেখানকার কর্মচারী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমীন মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে জানান, মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে চতুর্থ কর্মচারী আহত হলেন।
এর আগে তাদের সহকর্মী মোঃ দিদারুল, নুরুল ইসলাম ও মোঃ সোহরাব ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে আক্রান্ত হন। কিন্তু পরিচালকের কাছে বিচার দিলেও কোন সুরাহা হয় নি। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার বিচার না হলে কর্মবিরতিতে যাবার হুমকি দেন তিনি।