২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
৪১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলার সাক্ষী নাসির উদ্দিন। বাড়ি ফেনী জেলার চরকান্দিতে। গরিব মানুষ। টাকা ধার করে এসেছেন ফেনী থেকে। যাওয়ার টাকা নেই। এ কথা শুনে আদালত তাকে গাড়িভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দেন।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৭ এ সাক্ষ্য দিতে আসেন নাসির।
এ সময় বিচারককে তিনি বলেন, ‘স্যার আমি গরিব মানুষ। ঘটনার সময় পাশের ভবনে আমি দারোয়ান ছিলাম।’
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘স্যারকে বললাম, আমার গাড়িভাড়া নাই। আমি বেকার মানুষ। এ কথা শুনে স্যার আমাকে ৫০০ টাকা দিয়েছেন।’
নাসির আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর গ্রামে চলে যাই। কাজকাম নাই আয়-রোজগারও তেমন নাই। সাক্ষ্য দিতে আসব, তার জন্য গাড়িভাড়া নেই। ধারকর্জ করে নিয়ে এসেছি। আমাকে সরকারি গাড়ি দিয়ে পৌঁছে দেন; না হয় দেড় হাজার টাকা গাড়িভাড়া দেন। তখন বিচারক নিজের বেতন থেকে তাকে ৫০০ টাকা দেন।’
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ সাক্ষীর যাতায়াত (কনভেন্স) ভাড়া দেওয়ার বিধান রয়েছে।
পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের কাছ থেকে ৪১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ওই জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন নাসির উদ্দিন। আসামি অসুস্থ, তার যাতায়াত ভাড়া নেই। শুনে বিচারক তাকে ৫০০ টাকা দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানার বারিধারা নতুন বাজার বাঁশতলা এলাকা থেকে র্যাব মো. সেলিম হাওলাদার ও মো. হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তাদের কথামতো একটি মাইক্রোবাস থেকে ৪১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনা তদন্ত করে ওই বছরের ২৪ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন মো. সেলিম হাওলাদার, হেলাল উদ্দিন ও মো. ইকবাল হোসেন।