২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আনোয়ার হোসেন।। বরিশাল সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন মৌজার চর পাওয়ারের চরের কোটি টাকার জমি অবৈধভাবে ঢাকার পথে।
দখলদারিত্বের পাশাপাশি প্রভাবশালীরা এখন চরের জমি বিক্রি করছেন। প্রতি একর জমি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এতে প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও জমির মালিকরা রয়েছেন অনিশ্চয়তায়। প্রশাসন চাইলে ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে ওইসব জমি উদ্ধার করা সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন মৌজার চর পাওয়ার চরের জমি মেহেন্দিগঞ্জে, লাহারহাট ও চন্দ্রমোহনের রাজনৈতিক লোকের মাধ্যেমে কোটি টাকার চরের জমি ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে বিক্রি করছে ঢাকা আশেপাশের ইটের ভাটা মালিকদের কাছে। তবে প্রকাশে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রহমান নারায়ণগঞ্জের ইটভাটার মালিকে ওই মাটি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু রহমান একাই নয়, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়ার গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাগীনি জামাই সুলতানও অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নেওয়ার সাথে জরিত, মেহেন্দীগঞ্জের খালেক চৌকিদারের ছেলে ভূমিদস্যু শাহিন, বেল্লাল উদ্দিন, পিরোজপুরের জহির আহম্মেদ। সুলতান বলেন, যত প্রশাসন আছে সবাকে ম্যানেচ করার দায়িত্ব আমার। জাঙ্গালিয়ার আঃ গনি হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার ৩ বছর ধরে অবৈধ ব্যবসার সাথে জরিত। ভেদুরিয়ার কালম সিকদার, কাজিরহাটের ইউনুচ সিকদারের ছেলে বাবুল সিকদার লেবার সরদার, পিরোজপুর নেছারাবাদের আঃ হাকিমের ছেলে সুকানি মোঃ এনামুল হকসহ লাহার হাট চন্দ্রমোহনের লোক অবৈধভাবে মাটি নেওয়ার লোকের সাথে জরিত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই চরে ভূমিদস্যুর ৪ দল ওই অসংখ্য জাহাজ, শতশত লেবার, এক ভেকুট দিয়ে ১২ শত একর জমির দিনভর মাটি কাটছে। জাহাজ ভড়ার সাথে সাথে চর পাওয়ার ত্যাগ করে ঢাকার পথে পাড়ি দিচ্ছে।
তবে সহকারী কমিশন ভূমি নাম মাত্রা অভিযানের মধ্যে দিয়ে নিরব ভুমিকা।
আগামিকাল থেকে আসিতেছে ভূমিদস্যুরা আসলে কার নির্দেশে অবৈধভাবে মাটি নিচ্ছে।