২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স:: সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে ভারতের অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যে ঢুকে পড়েন রায়হান হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর। পরে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আকবরকে কানাইঘাট থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সিলেট নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।
খাসিয়াদের মত বেশ ধারণ করে সেখানকার খসিয়াদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্ঠা করেন তিনি। কিন্তু মেঘালয় রাজ্যের শিলচর থানাধীন দনা খাসিয়া বস্তি এলাকার ভারতীয় খাসিয়ার হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
ছদ্মবেশ নিতে মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি এবং গলায় কাঠের তৈরি এক ধরনের মালা পড়ে ছিলেন। কিন্তু চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যার মূল হোতা হওয়ায় তার চেহারা সারাদেশের কাছেই পরিচিত ছিল। ওই জঙ্গল দিয়ে রশি কাস্তে নিয়ে খাসিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন নিজেদের কাজেই যাচ্ছিলোন। এরমধ্যেই এসআই আকবরের চেহারার সাথে মিলে যায় এমন একজনকে সন্দেহ করছিলো তারা।
পরে তাকে প্রশ্ন করা হলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণীক ওই খাসিয়ারা এসআই আকবরকে পাওয়া গেছে চিৎকার করে ধাওয়া দিয়ে আটক করেন। এসময় তারা এসআই আকবরের হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপরই জঙ্গল থেকে বের করে পুলিশকে খবর দিয়ে হস্তান্তর করে দেয়।
সোমবার সকালে দনা খাসিয়া বস্তির প্রধান পাইলট খাসিয়া বাংলাদেশ সীমান্তের এরালীগুল সীমান্তের তরফ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমকে আকবরকে আটকের খবর জানান। আব্দুর রহিম খবরটি স্থানীয় পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ও বিজিবি আকবরকে ভারতীয় খাসিয়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এর আগে, ১১ অক্টোবর রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তার নিথর দেহ নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরে ১৪ অক্টোবর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।