২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
পড়াশুনা না করেই এমবিবিএস ডাক্তার! আজকের ক্রাইম-নিউজ

পড়াশুনা না করেই এমবিবিএস ডাক্তার! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন মাসুদ করিম। কিন্তু তার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে রোগী দেখছেন মাসুদ রানা। ফি নিচ্ছিলেন ৫০০ টাকা করে। শুধু মাসুদ রানা থেকে চিকিৎসক মাসুদ করিম হতে তৈরি করেছেন একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্রও।
অবশেষে প্রতারক মাসুদ রানাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তার কাছ থেকে মাসুদ করিম নামে এমবিবিএস পাসের সার্টিফিকেটের ফটোকপি, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে তাকে হবিগঞ্জ শহরের মুন জেনারেল হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামছুদ্দিন মো. রেজা তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা। বাবার নাম আব্দুল হান্নান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার হবিগঞ্জ শহরের মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। তখন মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম বলে দাবি করেন। কিন্তু পরে সার্টিফিকেটের প্রকৃত মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মাসুদ রানা একজন প্রতারক। এরপর তিনি তার দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মুন জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান সামছুল আলম সাজু জানান, মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম প্রচারের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস ধরে ৫০০ টাকা ফিতে রোগী দেখছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী রোগীপ্রতি হাসপাতালকে দিতেন ১০০ টাকা।

চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার সময় যাচাই-বাছাই করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসুদ রানা নিজেকে ডা. মাসুদ করিম প্রমাণ করতে একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছেন। সেজন্য আমরা বুঝতে পারিনি।

এদিকে, ভুয়া চিকিৎসককে শাস্তির আওতায় আনলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হবিগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান কল রিসিভ করেননি। তবে জেলা প্রশাসনের আরেকজন কর্মকর্তা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে শুধু তাৎক্ষণিকভাবে যিনি অপরাধী তাকেই শাস্তি দেয়া হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শাস্তির আওতায় আনতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুন জেনারেল হাসপাতালের কোনো রেজিস্ট্রেশনই নেই। এটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান। এ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া উচিত। তবে সেটা প্রশাসনের মাধ্যমেই করতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019