২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
সালিশ বৈঠকে ধর্ষকের সাথেই বিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

সালিশ বৈঠকে ধর্ষকের সাথেই বিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

ডেক্স প্রতিবেদক:: মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গেছে, সেই সুযোগে পিতৃহারা ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে পরিচিত যুবক মো. সহিদ। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিশুর মা থানায় মামলা দায়েরের দায়েরের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বাগড়া দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। উল্টো ওই নারীকে মারধর করে এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিজেই সালিশ করে রায় দেবেন বলে জানান। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ধর্ষকের সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেওয়া হয় ভিকটিম শিশুকে। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ দুইয়েক আগে ফকিরহাটের মৌভোগ গ্রামের সৈয়দ কাজীর ছেলে মো. সহিদ (২২) একই এলাকার এক কন্যাশিশুকে (১৩) বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির মা অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। আর সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে লম্পট ধর্ষক সহিদ। বিষয়টি জানতে

পেরে শালিস ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীন। উল্টো মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষকের সঙ্গে শিশুটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোরপূর্বক মেয়ের মাকে রাজি করান। ধর্ষক সহিদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়।

ধর্ষকের বিচারে বাধা দিয়ে উল্টো বাল্যবিয়েতে সহায়তা করায় চেয়ারম্যান মহসীনের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তারা জানান, এলাকার মানুষের আস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখার কথা একজন জনপ্রতিনিধির। কিন্তু তিনি যদি অপরাধ ও দুর্নীতির আশ্রয়দাতা হন তখন সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়ে যায়।

ধর্ষণের শালিস কীভাবে করলেন- চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ওসি এবং ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেই আমি এ বিয়ে দিয়েছি।’ তবে তার কথার সত্যতা যাচাই করতে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবু সাইদ খায়রুল আনামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘এমন বিয়ে ও ধর্ষণ সম্পর্কে আমি অবগত নই।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019