২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর চরে পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পাওয়ার দাবীতে ইউএনওকে স্মারকলিপি

বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর চরে পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পাওয়ার দাবীতে ইউএনওকে স্মারকলিপি

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামে জেগে ওঠা সন্ধ্যা নদীর চরে সহ¯্রাধিক পরিবারের পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পাওয়ার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রাম রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক এবং বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন এলাকাবাসীর পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ তাকে আশ্বস্ত করে বলেন ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো যাতে ওই সম্পত্তি পায় সে ব্যপারে তিনি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখবেন। প্রসঙ্গত বানারীপাড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামটি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। রাক্ষসী সন্ধ্যা নদী এ গ্রামের সিংহভাগ গ্রাস করে ফেলেছিলো। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, ঈদগাঁহ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, ফসলি জমি, বসতভিটা সবই নদী গ্রাস করে ফেলে। দু’টি স্কুল ও মসজিদ নতুন করে এর অদূরে অন্যের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হয়। বসতভিটা ও ফসলি জমিসহ সব কিছু হারিয়ে সহ¯্রাধিক পরিবার নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়ে। সম্পত্তি ক্রয় করে বাড়িঘর করার যাদের সঙ্গতি নেই তারা অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে সদর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম ও পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এবং সলিয়াবাপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবাসনে আবার কেউ কেউ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌরসভার অন্য ওয়ার্ডেও বসতি গড়েন। সপরিবারে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরেও চলে যান অনেকে। যাযাবর জীবনও বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ। নদীর তীরে ছাপড়া ঘরে থেকে কোন একদিন চর জেগে উঠবে সেখানে আবার ঘরবসতি গড়ে তুলবেন এ আশায় বুক বেধে আছেন অনেক পরিবার। ভাঙনের ধারাবাহিকতায় ২৫/৩০ বছর পূর্বে সিংহভাগ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া এ গ্রামটি গত এক যুগ ধরে একটু একটু করে জেগে উঠতে শুরু করে। পৈত্রিক ভিটেমাটি আবার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো। দু’একজন বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু হঠাৎ করে উপজেলা ভূমি অফিস ওই সম্পত্তির খাজনা নেওয়া ও বালি ভরাট বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের স্বপ্নে ছেদ পড়ে। সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল এ চর খাস সম্পত্তি হয়ে যেতে পারে এ শঙ্কায় ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর চোখে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। ফলে নিরুপায় হয়ে পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পাওয়ার দাবীতে নদী ভাঙনের শিকার নানা শ্রেণী পেশার শত শত নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019